সম্প্রতি মেট্রোতে দুই নারীর অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির একটি ভিডিও ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। তবে এই ঘটনাটি ভারতের রাজধানীতে ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছে দিল্লি মেট্রোর একজন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, দুই মহিলার অন্তরঙ্গ নাচের ফুটেজ থেকে তাদেরকে সনাক্ত করে করে “মেট্রোরেল আইন” ভঙ্গের অভিযোগে তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
বাংলাদেশে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, দুই মহিলা ট্রেনের বগির মেঝেতে বসে একে অপরকে রঙিন পাউডার দিয়ে মেখে দিচ্ছে। ব্যাকগ্রাউন্ডে একটি বাংলা গান বাজছে। 24 মার্চ, 2024-এ Facebook-এ এটি শেয়ার করা হয়েছিল। কারণ এই সময়ে ভারতে হোলি উদযাপন চলছিলো, যা হিন্দুদের রঙ উৎসব হিসাবে ব্যাপকভাবে পরিচিত।
এদিকে, ওই ভিডিওকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে আবারও সক্রিয় হয় বিএনপি-জামাতের গুজব চক্রটি। তারা এই ঘটনাটি বাংলাদেশের বলে দাবি করে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে থাকে। পোস্টের ক্যাপশনে লিখেছে, “বাংলাদেশী মহিলারা সত্যিকারের স্বাধীন এবং এখানে তারা যা করতে চায় তা করার সুযোগ রয়েছে, তারা দিন দিন সমকামিতাকে প্রমোট করছে।”
মুহূর্তেই বিষয়টি সচেতন নাগরিকদের নজরে আসে এবং গুগল অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা। গত 21 মার্চ, 2024-এ ভারতের একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। যার ক্যাপশনে লেখা হয়, “হ্যাপি হোলি”, “রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট” এবং ব্যাগগ্রাউন্ডে বাজতে শোনা যায়, হিন্দি গান “আং লাগা দে”।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের একজন অধ্যাপক বলেন, দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টে একটি অসাধু চক্র সোশ্যাল মিডিয়াতে সর্বদা সক্রিয়। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করেও দিন শেষে তারা ব্যার্থ হচ্ছে। কারণ মানুষ এখন অনেকটা সচেতন। সামাজিক গুজব ও অপপ্রচারে কান না দিয়ে তারা সত্য বিষয়টা খোঁজার চেষ্টা করে। প্রযুক্তির কল্যাণে দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সত্য-মিথ্যা অনুসন্ধানে দক্ষতা অর্জন করেছে সাধারণ মানুষ।
+ There are no comments
Add yours