ভূমি সেক্টরে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর ক্ষেত্র চিহ্নিত করার জন্য ভূমি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।
তিনি সোমবার ( ২৯ এপ্রিল) সকালে রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভূমি সংস্কার বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত ‘দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক এক কর্মশালায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ নির্দেশনা দেন।
কর্মশালায় ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সবুর মন্ডল মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) জিয়াউদ্দীন আহমেদ ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. আবু জাফর এবং রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, গ্রামিণ কিংবা মফস্বলের পতিত কিংবা অনাবাদি জমি, উর্বর কৃষি জমি, আবাসিক, বিলাসবহুল, শিল্প, শহরের বাণিজ্যিক এলাকার জমির ই-নামজারি ফি একই হওয়া উচিত নয়। জমির ব্যবহার ও মূল্যভিত্তিক ই-নামজারি নির্ধারণের আইনি দিক পরীক্ষা করতে হবে। এসময় তিনি জানান, ভূমি উন্নয়ন কর ও নামজারি ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশনে ভূমি খাতে রাজস্ব আদায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
নারায়ন চন্দ্র কর্মকর্তাদের বলেন, সারা দেশে খাস জমি, খাল-বিল ও জলমহল চিহ্নিত করতে হবে এবং ভূমি ডেটা ব্যাংকে এসবের পূর্ণাঙ্গ তথ্য আপলোড করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অবৈধ দখলে থাকা খাস জমি উদ্ধার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া ভরাট হয়ে যাওয়া খাল-বিল পুনঃ-খননের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
রংপুর ও গাইবান্ধা জেলা ভূমি মন্ত্রণালয়ের ১৮০ দিনের বিশেষ কর্মসূচি চলছে।
পরে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় কমপ্লেক্সে অবস্থিত রংপুর উপ-ভূমি সংস্কার কমিশনারের কার্যালয় পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।
+ There are no comments
Add yours