কেএনএফ’র শাস্তি নিশ্চিত হলেই শান্তি ফিরবে পাহাড়ে

1 min read

নিউজ ডেস্ক : পাহাড়ে গজিয়ে ওঠা এই সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পাহাড়ি জনপদ। পাহাড়ে সন্ত্রাসের হোতা নাথানের নিজস্ব বম গোষ্ঠীও জিম্মি হয়ে পড়েছে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের হাতে। এদের থেকে মুক্তি পেতে আর্তনাদ করছে পাহাড়ের অধিবাসীরা। চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, অপহরণ কিংবা ব্ল্যাকমেইলে এক ভীতিকর পরিস্থিতি পাহাড়ে। এই সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে গ্রামছাড়া অনেক পাহাড়ীরা।

একেবারে প্রশিক্ষিত বাহিনীর মতোই কার্যক্রম শুরু করেছিল বান্দরবানভিত্তিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার সাবেক শিক্ষার্থী নাথান বমকে সংগঠনটির সভাপতি হিসেবে রাখলেও ৯ সদস্যের ‘হাই কমিটির’ বাকি সদস্যদের পদ দেয়া হয়েছে সেনাবাহিনীর আদলেই। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ভারতের মিজোরামেই অবস্থান নিয়ে ব্যাংক ডাকাতির মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে তারা।

সম্প্রতি ব্যাংক ডাকাতি, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ, ব্যাংক গ্রাহকদের টাকা ও বাজারে লুটপাট করেছে কেএনএফ। পুলিশ থানা ও নিরাপত্তা বাহিনীর চেকপোস্টে আক্রমণ চালিয়ে পাহাড়ি এলাকার মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। তাদের এ নৃশংসতায় সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে, আতংকে ঘর থেকে বের হতে পারছে না পাহাড়ি জনগণ। মুখ থুবড়ে পড়েছে পার্বত্যাঞ্চলের পর্যটন শিল্প।

পার্বত্য অঞ্চলের সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি এখন সবার। কেএনএফ’র প্রতিটি সদস্যকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিতের মাধ্যমেই পাহাড়ে ফিরবে শান্তি। স্বস্তি পাবে গোটা বাংলাদেশ।

+ There are no comments

Add yours