ফখরুল থাকলে বিএনপি ছাড়বেন সিনিয়র ৫ নেতা

0 min read

নিউজ ডেস্ক : এবার আনুষ্ঠানিকভাবেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সরকারের এজেন্ট বলেছেন বিএনপির একাধিক নেতা। তারা ২৯ সেপ্টেম্বর মির্জা ফখরুলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনেন এবং জানতে চান যে, দেশে প্রায় ৫ কোটি মানুষ করোনার টিকা দিয়েছে। বর্তমানে দেশে করোনা বলতে কিছুই নেই। তবুও কেন আন্দোলনে যাচ্ছে না বিএনপি। তবে কি মহাসচিব হয়ে দলকে বিক্রি করেছেন আপনি? বিএনপির ৫ নেতার এমন প্রশ্নের পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কোনো কিছু না বলেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির শীর্ষ ৫ নেতা এখন সরাসরি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তারা বলেছেন যে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যদি বিএনপির মহাসচিব থাকেন, তাহলে তারা বিএনপি করবেন কি করবেন না তা তারা চিন্তা করে দেখবেন। এই নেতাদের মধ্যে রয়েছেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তারা মনে করছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারের পরে বিএনপিকে নিষ্ক্রিয় রাখা, খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে নির্বাচনে যাওয়া, দলকে প্রস্তুত না করে নির্বাচনে যাওয়া এবং নির্বাচনে ভরাডুবির পরও কোন রকম আন্দোলন সংগ্রামের কর্মসূচী গ্রহণ না করা এবং দুই বছর শেষ হলেও ঘরের কোনায় বসে থাকাসহ সবই মির্জা ফখরুল করছেন সরকারকে খুশি করার জন্য।

ওই নেতারা বলছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে এতগুলো মামলা, তারপরও তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে না কেন! মির্জা ফখরুলকে নিয়ে এই বিতর্ক অবশ্য নতুন নয়। ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে যখন বিএনপি লাগাতার আন্দোলন শুরু করেছিল। লাগাতার অবরোধ দিয়ে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করেছিল, সেই সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সরকারের গোপন যোগাযোগ হয়েছিল বলে বিএনপির নেতারা দাবি করছেন। তারা মনে করছেন যে, বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য ড. কামাল হোসেন ও মির্জা ফখরুলকে সরকার ব্যবহার করছেন। তাদের ভুল নির্দেশনার কারণে বিএনপির আজ এই দুরবস্থা। ওই নেতা মনে করছেন যে, বিএনপিকে নির্লিপ্ত রেখে সরকারকে সুযোগ সুবিধা দেওয়ার জন্যই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সরকার নানা রকম পৃষ্ঠপোষকতা করছে ও সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। যার কারণেই বিএনপির এই দুরবস্থাতেও তিনি চুপ করে থাকেন। অতিসত্বর মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নতুবা বিএনপির ধ্বংস কেউ ঠেকাতে পারবে না।

+ There are no comments

Add yours