মহাসচিব হবার আগ্রহ জানিয়ে তারেককে রিজভীর ফোন

1 min read

নিউজ ডেস্ক : নির্বাচনের পর বিভক্তি এবং টলটলায়মান বিএনপির হাল ধরতে কেউ রাজি ছিলো না। বর্তমানে বিএনপিতে কিছুটা স্থিতিশীলতা এসেছে। যদিও তারা এখনো আন্দোলন করতে ভয় পাচ্ছে, তবে এর কারণ হচ্ছে বিএনপিতে উপযুক্ত নেতৃত্বের অভাব। আর এই সুযোগে মহাসচিব হয়ে দলের নেতৃত্ব দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। ২৯ সেপ্টেম্বর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফোন করেন রিজভী। এসময় তিনি নিজেই দলের মহাসচিব হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

ফোনালাপে রিজভী বিএনপির সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন তারেক রহমানের কাছে। সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে (১) করোনার অজুহাতে দুই বছর যাবত ঘরে বসে থাকা। (২) তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে যারা মামলা-হামলায় জর্জরিত, তাদের কোন খোঁজখবর সিনিয়র নেতারা নিচ্ছেন না। (৩) সিনিয়র নেতারা দলের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আসছেন না ও কোন রাজনৈতিক নির্দেশনা নেতাকর্মীদের দিচ্ছেন না এবং (৪) দলীয় কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য দলের সিনিয়র নেতাদের পাওয়া যাচ্ছে না, অধিকাংশ সময়ই তারা ফোন ধরেন না। এমতাবস্থায় দল চালিয়ে নেয়া
প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে বলে জানান রিজভী।

প্রতিউত্তরে তারেক রহমান রিজভীকে বলেন, ‘আমরা খুব শিগগিরই দল পুনর্গঠন করছি। নতুন মহাসচিব নিয়োগ করা সব ঠিক হয়ে যাবে।’ তখন রিজভী নিজেই আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি সার্বক্ষণিকভাবে বিএনপির জন্য কাজ করছি। দলের নেতাকর্মীদের মাঝে আমি আস্থাভাজন এবং দুঃসময়ে পরীক্ষিত। কাজেই আমাকে বিবেচনা করা যেতে পারে।’ তারেক রহমান সংক্ষেপে বলেন, ‘যার যোগ্যতা আছে তাকেই মহাসচিব হিসেবে বিবেচনা করা হবে।’

বিএনপি নেতাদের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে আগেও তারেক রহমানের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেছেন বিএনপি এই নেতা। উদ্দেশ্য হল, সবকিছুর ঊর্ধ্বে গিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করা।

+ There are no comments

Add yours