বিএনপির গুরু তারেক, তারেকের গুরু যারা

0 min read

নিউজ ডেস্ক : ২০০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বিএনপিতে তারেক রহমানের কথাই শেষ কথা। মুখে মুখে খালেদা জিয়া থাকলেও লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি বিএনপি চালায় তারেক রহমান। যদিও বুদ্ধির বিবেচনায় তারেক অনেক পিছিয়ে আছে বলে মনে করেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। যদিও মুখে বলতে সাহস পান না তারা। শিক্ষাজীবনে অত্যন্ত খারাপ ছাত্র হিসেবে পরিচিত বেগম জিয়ার বড় ছেলে সব সময়ই চলেন অন্যের বুদ্ধিতে। রাজনীতি হোক কিংবা ব্যবসা, টাকা উপার্জন হোক কিংবা অপকর্ম সব ব্যাপারেই তারেকের পছন্দ শর্টকাট পথ। আর এই পথ বলে দেয়ার জন্য তারেকের গুরু নির্ভরতা সারাজীবন। ২০০৭ সাল পর্যন্ত তারেকের গুরু ছিলো গিয়াসউদ্দিন আল মামুন। বিএনপির লোকজনই বলে, মামুনই তারেক রহমানকে নষ্ট করেছে। ২০০১ সালে ‘সারাজীবন ক্ষমতায় থাকার দর্শন তারেকের মাথায় ঢুকিয়েছে মামুনই। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনাও মামুন দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই তারেক করেছেন বলেই বিএনপির অনেক নেতা মনে করেন।

বিএনপির আজকের পরিণতির জন্য অনেক বিএনপি নেতা তারেককে যতটা দায়ী করেন ততোটাই দায়ী করেন মামুনের অর্থলিপ্সাকে। মামুন যখন জেলে, ২০০৭ সাল থেকে তারেকও লন্ডনে। কিন্তু পরীক্ষায় নকলের জন্য স্কুল থেকে বহিস্কৃত, নকল করে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা জিয়াপুত্র তো নিজের বুদ্ধিতে চলতে পারেন না। দুষ্টকর্মের জন্য তার লাগে একজন পরামর্শক এবং গুরু। তারেক রহমানের সঙ্গে যাদের এখনো যোগাযোগ এবং ঘনিষ্ঠতা রয়েছে তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, তারেক রহমানের লন্ডনি গুরু হলো ডেভিড বার্গম্যান। বার্গম্যান ড. কামাল হোসেনের জামাতা। ব্যারিস্টার সারা হোসেনের স্বামী। ডেভিড বার্গম্যান যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে ওকালতির জন্য আলোচিত। পেশায় অনুসন্ধানী সাংবাদিক ভারতেও জেল খেটেছেন। তারেক রহমান বিগত ১০ বছর যাবত তার পরামর্শ ছাড়া কিছুই করেন না।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন, ড. কামালকে নেতা বানানো, জামায়াতকে ২২ আসন দেয়া এসবই বার্গম্যান পরামর্শই বলে জানা গেছে। বার্গম্যানই যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের সঙ্গে তারেকের যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্তার্জাতিক সংস্থায় লবিং করার কাজটি করে ডেভিড বার্গম্যান। যুক্তরাজ্যের উচ্চ মহলে বার্গম্য্যানের ভালো যোগাযোগ রয়েছে। ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’সহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের সঙ্গেও বার্গম্যানের সম্পর্ক রয়েছে। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ সরকারকে হটাতে তারেকের প্রধান পরামর্শক হলেন ডেভিড বার্গম্যান। বার্গম্যান তারেককে যেভাবে যা করতে বলছে, তারেক তাই করছে। বিএনপির যুক্তরাজ্যের অনেক নেতা মনে করেন, বার্গম্যান মামুনের মতোই তারেককে ব্যবহার করে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল অর্থ। আর যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের পুনর্বাসিত করার কাজে তার প্রধান অস্ত্র তারেক রহমান। ডেভিড বার্গম্যানই এখন নির্বাচনের আগে আন্তার্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রধান ব্যক্তি।

+ There are no comments

Add yours