তারেকের ‘পছন্দের মানুষরাই’ ঠাঁই পেয়েছে সিলেট মহানগর কমিটিতে!

1 min read

নিউজ ডেস্ক: উপার্জন না করেও লন্ডনে চোখ ধাঁধানো আয়েশি জীবনযাপন করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সবার প্রশ্ন, কিভাবে সম্ভব? উত্তর খুঁজতে গিয়ে সম্প্রতি গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ঢাকা ও সিলেট থেকেই যোগান হয় তার অর্থ। ‘মাসিক চাঁদা’ হিসেবে তাকে এই অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে পাঠান বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ী ও দলের পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা। তারই প্রেক্ষিতে তারেক তাদের বিভিন্ন তদবির ও আবদার রাখেন। ব্যতিক্রম হলো না এবারও। সম্প্রতি ঘোষণা করা হয়েছে সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি। সেখানেও তারেকের ‘পছন্দের’ মানুষরাই প্রাধান্য পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

বিশ্বস্ত সূত্রের তথ্যমতে, লন্ডনে বিলাসবহুল জীবনযাপনে অনেক টাকার প্রয়োজন হয় তারেক রহমানের। তাই তিনি এসব অর্থ সহজে প্রাপ্তির জন্য বেছে নেন পদ-কমিটি-মনোনয়ন ও তদবির বাণিজ্যের পথ। এর বাইরেও তার অস্ত্রের গোপন ব্যবসা রয়েছে। রয়েছে নাইটক্লাব ও বার, যেখানে বসেই তিনি দেশবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের নীল নকশা আঁকেন। সম্প্রতি আবারও তিনি তৎপর হয়েছেন অসদুপায়ে উপার্জনে। দিচ্ছেন একের পর এক কমিটি। যেসব কমিটিতে ঠাঁই হচ্ছে অযোগ্য-অদক্ষ নেতাকর্মীদের। যারা কখনোই মাঠের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন না। শুধুমাত্র টাকার জোরে তারেকের ‘পছন্দের মানুষ’ বনে যাওয়ায়, তারাই হাসছেন বিজয়ের হাসি। পক্ষান্তরে চোখের জল ফেলছেন যোগ্য ও পদবঞ্চিতরা।

সর্বশেষ ২৯ সেপ্টেম্বর (বুধবার) ১০ কোটি টাকার বিনিময়ে ঘোষণা করা হয়েছে সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি। তারেক রহমানের নির্দেশনায় যেখানে আহবায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন মহানগর বিএনপির সদ্য সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম জালালি পংকী ও সদস্য সচিব হয়েছেন সাবেক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী।

দীর্ঘদিন মাঠের রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকা ব্যক্তিরা কমিটিতে ঠাঁই পাওয়ায় ক্ষুব্ধ পদবঞ্চিতরা। বাংলানিউজ ব্যাংকের সঙ্গে আলাপকালে তারা বলেন, এই অন্যায় খোদা সইবে না। বিচার হবেই। সারাজীবন মাঠে থাকলাম আমরা। হামলা-মামলার শিকার হলাম, আর সুবিধা পাইলো, পদ পাইলো টাকাওয়ালারা। ১০ কোটি টাকা দিয়ে তারা সব জয় কইরা নিলো? এই ঘোর অন্যায় করতে তারেক রহমানের একটুও বাধলো না? কি করে পারলেন তিনি? তার জন্য, দলের জন্য কি করিনি আমরা? অথচ সেই আমাদেরকেই ছুঁড়ে ফেলা দেয়া হলো?

এ ব্যাপারে কথা বলতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই প্রতিবেদক। তিনি বলেন, তারেক রহমানের পাঠানো তালিকাতে আমি শুধু ‘অনুমোদিত’ লিখে স্বাক্ষর করেছি। এবং সেটা তার কথাতেই। এর বাইরে আমার তো কিছু করার ক্ষমতা নেই। হাত-পা বাঁধা। তবে তিনি যে তালিকা আমাকে দিয়েছেন, নিশ্চয়ই তা বিচার-বিবেচনা করেই দিয়েছেন বলে মনে হয়।

দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই ব্যাপারে অবহিত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেখুন এটা তাদের মা-ছেলের ব্যাপার। তারেক ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) থেকে অনুমতি নিয়েছেন কিনা কিংবা তাকে জানিয়েছেন কিনা, সেটা একমাত্র তিনিই বলতে পারবেন। এই দায় একান্তই তার।

+ There are no comments

Add yours