জমি দখলের পর চুরির মালামালে কারখানা দেন গোলাম মাওলা রনি

0 min read

নিউজ ডেস্ক: অভাবকে সঙ্গী করে বড় হওয়া ব্যক্তির হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার ঘটনা অনেক আছে। এর মধ্যে আমাদের বাংলাদেশেও রয়েছেন একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। যিনি আবার বিভিন্ন টকশোতে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে ভালো সাজেন। কিন্তু তার রয়েছে অন্ধকারময় অতীত। বলছি প্রতারক ও পল্টিবাজ গোলাম মাওলা রনির কথা।

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরভদ্রাসন গ্রামে ছোটবেলা কেটেছে রনির। তার বেড়ে ওঠা, কৈশোর থেকে তারুণ্য শুরু পটুয়াখালীর মাটিতে। পরে শুধুমাত্র প্রতারণা করেই হাজার কোটি টাকার মালিক বনেছেন এই রনি। অভাবগ্রস্থ পরিবারের বাবা ছিলেন গামছা ফেরিওয়ালা, তার ছেলে আজ চড়ে কোটি টাকার গাড়িতে।

জানা গেছে সাভারের আশুলিয়ায় রনির রয়েছে একটি কারখানা। যে কারখানা বানানো হয়েছে দখল করা জমিতে। আর অন্য কারখানা থেকে কৌশলে মালামাল ও যন্ত্রপাতি চুরি করে এনে বসিয়েছেন নিজের কারখানায়। যা নিয়ে হয়েছে মামলাও। কিন্তু টাকার জোরে এখনো দাপিয়ে বেড়ান তিনি।

সাবেক সাংসদ গোলাম মাওলা রনির মালিকানাধীন সেবোল্ট টেক্স লিমিটেড। এই কারখানার বেশিরভাগ সম্পতিই দখল করা ও চুরি করা। আর যেগুলো দখলে নিতে পারেননি সেগুলো হাতানোর জন্য বৈপ্লবিক (!) কৌশলের আশ্রয় নেন তিনি।

কেনার জন্য চুক্তিপত্র প্রস্তুত করে অন্য কারখানার মালিককে বেশ সমাদর করে কোথাও ডেকে নিয়ে বিভিন্নভাবে স্বাক্ষর করে হাতিয়ে নেন। এভাবে অনেক মালিককে বেশ ভুগিয়েছেন গোলাম মাওলা রনি। আর রনির থেকে টাকা না পেয়ে চুক্তিপত্র অনুযায়ী সেই সম্পত্তিও দিয়ে দিতে হয়েছে।

এসব নিয়ে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকার ইউনিয়ন স্পোর্টসওয়্যার লিমিটেড কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মেজবাহ উদ্দিন খানের সঙ্গে একটা মামলা আজও চলমান।

এছাড়া ধানমণ্ডির ৬/বি, নাঈম রোডে এবং তোপখানা রোডে রয়েছে তার বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, পূর্বাচলে প্লটসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাট, বাড়ি এবং প্লট রয়েছে। ল্যান্ডক্রুজার প্রাডোসহ রয়েছে একাধিক গাড়ি। শুধু প্রতারণা করেই এসব সম্পত্তির মালিক হয়েছেন গামছাওয়ালার ছেলে রনি।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours