উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতা ছড়াতে মরিয়া বিএনপি

1 min read

নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে চলছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই নির্বাচনে তাদের পছন্দের প্রার্থীদেরকে ভোট দিচ্ছেন। ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে প্রথম ধাপের নির্বাচন। বিএনপি দলীয়ভাবে এই নির্বাচন বর্জন করলেও দলের প্রচুর নেতারা এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। ফলস্বরূপ তাদেরকে বহিষ্কারও করেছে দলটি। কিন্তু এতকিছুর পরও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ৭ জন প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আর এসব কারণেই বিএনপি শিবিরে এখন কারও ঘুম নেই।

জানা গেছে, বিএনপি ও জামায়াত তাদের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে বারবার ব্যর্থ হয়ে নানান ফন্দি ফিকির করছে। তারই অংশ হিসেবে এবার উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সহিংসতা ছড়ানোর মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। যা বাস্তবায়নে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছে বিএনপি ও জামায়াতের অন্তত ৫০টি গোপন টিম।

গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কিছুদিন আগে মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, রুমিন ফারহানাসহ বিএনপির বেশ কিছু শীর্ষ নেতা এক গোপন বৈঠক করেছেন। যেখানে দেশব্যাপী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতার ছক কষা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন কায়দায় সহিংসতা ছড়ানোর সুচারু পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিরোধী নেতাকর্মীদেরও তৈরি করা হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশেই আমরা সারা দেশের উপজেলা নির্বাচন প্রতিহত করার কাজ হাতে নিয়েছি। আমাদের নির্বাচন বর্জনে দেশের মানুষের কিছুই আসে যায়না। এটা তারেক রহমান বুঝতে চাচ্ছেন না। কিন্তু তিনি নির্দেশ দিলে তো আর তা না মেনে উপায় নেই। তাই তার কথামত আমরা সারাদেশের উপজেলা পর্যায়ে সহিংসতা ছাড়ানোর কাজে নেমেছি।

উল্লেখ্য, বিএনপির পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের কর্মীরা বিভিন্ন প্রার্থীর কর্মী হয়ে মাঠে নেমে এলাকায় সহিংসতা ছড়াবে। স্থানভেদে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং প্রয়োজনে হত্যাও করা হবে বলে জানিয়েছে বিএনপির একাধিক সূত্র। আর তাই উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আমাদেরকে আরও সচেতন হতে হবে। সকল অবস্থায় সহিংসতা থেকে দূরে থাকতে হবে।

 

 

 

 

 

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours