দলের নিয়ন্ত্রণ পেতে একজোট হচ্ছে খালেদাপন্থীরা

1 min read

নিউজ ডেস্ক : দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপির নিয়ন্ত্রণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া পুরোপুরি তারেক রহমানের হাতে। খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বা দলের শীর্ষ নেতার পদে রয়েছেন তিনি। কিন্তু দলে এখনো তার নেতৃত্ব দৃঢ় হয়নি। বিশেষ করে খালেদাপন্থী বড় একটি অংশে তার একক কর্তৃত্ব এবং অনেক সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি রয়েছে। আপত্তি থাকলেও বিএনপির রাজনীতিতে কোনঠাসা তারা। তারেক অনুসারীদের দৌরাত্নে মানসম্মানের বাঁচাতে অনেক নেতাই রাজনীতি থেকে দূরে সরেছেন। অনেকেই আবার অপমান, লাঞ্ছনা সহ্য করে রাজনীতির স্বার্থে কোনরকম টিকে আছে দলে।

এবার বিএনপিকে বাঁচাতে খালেদাপন্থী সিনিয়র নেতারা একজোট হতে চলেছেন বলে জানিয়েছেন দলটির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র। আর সবাইকে একজোট করার দায়িত্ব কাধে তুলে নিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সূত্রটি বাংলা নিউজ ব্যাংককে জানায়, ক্লিন ইমেজর বেশিরভাগ সিনিয়র নেতাই চায় খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিক বিএনপি। তারা বিশ্বাস করে- খালেদা জিয়াই পারে বিএনপিকে আবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনতে। লন্ডনে পলাতক তারেক রহমান ভাবছেন- তার নেতৃত্বেই বিএনপি পারবে।

কিন্তু দলটির বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলছেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে নির্বাচনে গেলে বিএনপির ভাবমূর্তি আরো খারাপ হবে। কারণ তার অনুসারী বেশিরভাগ নেতাই অন্তঃসারশূণ্য। অথচ তারা চায় বিএনপির পুরো নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে থাক। এভাবে চলতে থাকলে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির নাম তলানীতে এসে ঠেকবে। তাই কয়েকজন সিনিয়র ত্যাগী নেতারা অন্তদ্বন্দ্ব ভুলে একজোট হয়ে খালেদা জিয়ার পরামর্শনুযায়ী কাজ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে চান।

এ বিষয়ে তিনি বাংলা নিউজ ব্যাংককে বলেন, ‘ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজনের সাথে কথাও হয়েছে। আর ফখরুল সাহেব ম্যাডামের অনুসারী সিনিয়ের নেতাদের কথা বলে ইতিবাচক সারা পেয়েছেন। হাসপাতালে অসুস্থ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান একাত্বতা প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন ফখরুল সাহেব। সুস্থ হয়েই তিনি কাজে যোগ দেবেন।’

রুহুল কবির রিজভী ছাড়া বেশিরভাগ সিনিয়র নেতারাই একজোট হবেন বলে প্রত্যাশা করছেন মির্জা আব্বাস।

এ বিষয়ে বিএনপিপন্থী সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক শওকত মাহমুদ বলেন, বিএনপিতে শীর্ষ দুই নেতারই আলাদা আলাদা সমর্থক আছে। তাদের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ দীর্ঘদিনের। ইদানিং সেই যুদ্ধ প্রকাশ্যে এসেছে। তারেকপন্থী এবং খালেদাপন্থী দুই পক্ষই ভাবছে তারা সঠিক পথেই এগোছে। কিন্তু দিন শেষে এক্সপেরিয়েন্স মেটার করে। এখন দেখার বিষয় দলটির চুড়ান্ত নিয়ন্ত্রণ কোন পক্ষের কাছে যায়।

+ There are no comments

Add yours