জনগণের ভোটেই নির্ধারিত হবে জয়-পরাজয়: হানিফ

1 min read

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে শহরের পিটিআই সড়কে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

অতীতে যে কোনো সময়ের চেয়ে এবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি অধিক হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন এমপি হানিফ। তিনি বলেন, ‘কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও শিল্পায়নে দেশকে এগিয়ে নেওয়া এবারের নির্বাচনের ইশতেহারের মূল লক্ষ্য। দেশে ১১০ শিল্পাঞ্চল স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলেছে। এতে কল-কারখানা স্থাপন ও চালুর পর দেশের প্রতিটি শিল্পাঞ্চলে ১ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।’

হানিফ বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন তো দণ্ডমূর্তি নয়। তারা নির্বাচনী কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে পারেন, এটা দোষের কিছু নয়। অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সরকার ও ইসি বদ্ধপরিকর। এবারের নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক- এতে কোনো সন্দেহ নেই।’

জোটের প্রার্থী থাকায় আওয়ামী লীগে অসন্তুষ্টি আছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জোটে কোনো অসন্তুষ্টি নেই। জোটের প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকলে তো নির্বাচনে প্রতিযোগিতা থাকবে না। বিএনপি এখন দিশেহারা। বিএনপি ‘১৪ ও ‘১৮ সালের নির্বাচনের পর বলেছিল, এই নির্বাচন টিকবে না। কিন্তু আওয়ামী সরকার গঠনের সফলতার সঙ্গে পূর্ণ মেয়াদে দেশের কল্যাণে কাজ করেছে। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবে এবং পূর্ণ মেয়াদে টিকে থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিত বাড়ছে নিত্যপণ্যের মূল্য। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের পাশাপাশি জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। বাজার অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।’

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলী, সাংগাঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী, ইকবাল মাহমুদ, আমজাদ হোসেন রাজু, রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, প্রকৌশলী ফারুকুজ্জামান, মাজহারুল ইসলাম, নারী নেত্রী আফরোজা আক্তার ডিউ, শম্পা মাহমুদসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

+ There are no comments

Add yours