জয় ছাড়া কিছু ভাবছি না

0 min read

আজ ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনে নৌকার কান্ডারি হিসেবে মেয়র পদে মনোনয়ন পেয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান। নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে তিনি ব্যস্ত সময় পার করেছেন।

বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে আজমত উল্লা বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে মানুষের দোরগোড়ায় নাগরিক সেবাগুলো পৌঁছে দেবেন। তিনি আশাবাদী, ভোটাররা উন্নয়নের জন্য তাঁকে নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। নির্বাচনী মাঠে মানুষ যেভাবে সাড়া দিচ্ছে, অভিব্যক্তি প্রকাশ করছে এতে তিনি বিজয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত।

সুষ্ঠু নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া আজমত উল্লা বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে যে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তা ২৫ মে প্রমাণিত হবে। নির্বাচন অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। মানুষ তাদের মনের মতো প্রার্থীকে ভোট দিতে উৎসুক হয়ে আছে। ভোটার উপস্থিতি আশাব্যঞ্জক হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করে। তিনি জনগণের রায়ের প্রতি আস্থাশীল। রায় যা হবে মেনে নেবেন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘কেউ এজেন্ট দিতে পারবেন কি না সেটি তার জনসমর্থনের ওপর নির্ভর করে। আমার এবং দলের পক্ষ থেকে কাউকে হয়রানি করা হয়নি।’ পরিকল্পিত নগরী গড়ার কথা উল্লেখ করে মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই নেতা বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন। দুর্নীতিমুক্ত ও পরিকল্পনামাফিক নগর গড়ে তুলবেন।

তিনি বলেন, ‘বিগত দিনে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের দুর্নীতির অসংখ্য চিত্র বেরিয়ে এসেছে। এমনকি হাই কোর্টে রিট হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করছে। দুর্নীতির যেসব চিত্র আমরা পাচ্ছি সেগুলো মোটেও সুখকর নয়। আমার ১৮ বছর পৌরসভা পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে। ১৮ বছরে আমার বিরুদ্ধে ১৮ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি। এ নগর নিয়ে যারা ভাবেন তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে পরিকল্পিত একটি নগরী গড়তে আমি কাজ করব।’

দরিদ্র নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে আজমত উল্লা খান বলেন, গাজীপুরে সরকারি ও বেসরকারি অনেক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল রয়েছে। তাদের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ সমন্বয় করে গরিব, অসহায় ও দুস্থদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যকার্ড দেবে, যাতে তারা সারা বছর স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারেন।

বাসাবাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিগত দিনে বাসাবাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স রিভিউ না করে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে ট্যাক্সের নোটিস পাঠানো হয়েছে। আমি নির্বাচিত হলে হোল্ডিং করের হার না বাড়িয়ে রিভিউ বোর্ডের মাধ্যমে সহনশীল পর্যায়ে চূড়ান্ত করা হবে।’ ভূমি অধিগ্রহণ প্রসঙ্গে বলেন, সরকার কর্তৃক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ভূমি অধিগ্রহণে যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে তা যথাযথভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হবে।

+ There are no comments

Add yours