গণমিছিলে টার্গেট ছিল পুলিশ

1 min read

নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর মৌচাকে শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপি-জামায়াতের গণমিছিলে ১০ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। জানা যায়, পুলিশের উপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা আগে থেকেই সেট করে রেখেছিল বিএনপি-জাময়াতের সন্ত্রাসী বাহিনীরা।

শান্তিপূর্ণ বলা হলেও পূর্বনির্ধারিত এই গণমিছিল থেকে পুলিশের উপর হামলা চালাতে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা। তাই নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে এই সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মৌচাক এলাকায় কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছেন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। পরে বাড়তি পুলিশ সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের হামলায় পুলিশের ১০ সদস্য আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন-

১. শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান, এসি নিউমার্কেট জোন
২. মো. বায়েজীদুর রহমান, এসি রমনা জোন
৩. এসআই শহীদুল ওসমান মাসুম, রমনা থানা
৪. এসআই সুবীর কুমার কর্মকার, রমনা থানা
৫. এসআই হাবিবুর রহমান, রমনা থানা
৬. এসআই মোহাইমিনুল হাসান, রমনা থানা
৭. এএসআই কবির হোসেন, রমনা থানা
৮. এএসআই মো. ফিরোজ মিয়া, রমনা থানা
৯. কনস্টবল ৩০৬৭ সৌরভ নাথ, পিওএম পূর্ব
১০. কনস্টবল ৩০৮৩৫ সাদী মোহাম্মদ, পিওএম পূর্ব

এ ঘটনার পর থেকে বাড়তি সতর্কতা ও কড়া নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে ওই এলাকায়। বিকাল তিনটা নাগাদ মৌচাক মালিবাগ মোড়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তবে সড়কের উভয় পাশে শতাধিক পুলিশ সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘দুপুরের দিকে জামায়াত শিবির সমর্থিত একটা মিছিল থেকে মৌচাক মোড়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ তাদের বাধা দিলে তারা চলে যায়। এ সময় তাদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।’

+ There are no comments

Add yours