তারেকের বিষয়ে বিএনপিকে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা

0 min read

নিউজ ডেস্ক : ইউক্রেন রাশিয়া ইস্যুতে টনক নড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। আর এ কারণে দেশে বিদেশে অবস্থিত উগ্রমতাবলম্বীদের টার্গেট করে জাঙ্গি গোষ্ঠীর তালিকা করতে যাচ্ছে তারা। যার ধারাবাহিকতায় তারেক রহমানের বিষয়ে সতর্ক বার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সঙ্গে ভারতও এ বিষয়ে সায় দিয়েছে বলে জানা গেছে।

এরই মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের পক্ষ থেকে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদেরকে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, তারেক রহমানকে যদি দলের নেতৃত্ব থেকে বাদ না দেওয়া হয় তাহলে বিএনপিকেই একটি তালিকাভুক্ত জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

বিভিন্ন তথ্যসূত্র বলছে, লন্ডনে বসে তারেক রহমান এখনো জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন রাশিয়া ভিত্তিক সংগঠনকে সহযোগিতা, পৃষ্ঠপোষকতা এবং মদদ দিচ্ছেন। বাংলাদেশেও নতুন করে জঙ্গিবাদ বিস্তারের জন্য তারেক রহমান অর্থায়ন করছেন বলে স্পষ্ট তথ্য প্রমাণ হাতে পেয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

বাংলাদেশে জঙ্গি হামলা ঘটিয়ে সরকার পরিবর্তন বা সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করার পরিকল্পনার সঙ্গে তারেকের প্রত্যক্ষ যোগাযোগের চাঞ্চল্যকর তথ্য এখন মার্কিন দূতাবাসের হাতে বলেও একটি বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি ভারতও মনে করছে যে, বাংলাদেশের রাজনীতি অস্থিতিশীল করার জন্য তারেক রহমান ভারতের বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সঙ্গে আঁতাত করছেন।

এজন্য বিএনপির তিনজন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে ডেকে দুটি দূতাবাসের পক্ষ থেকে তারেকের ব্যাপারে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মার্কিন দূতাবাসের কাছে এরকম তথ্য রয়েছে যে, তারেক রহমান আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালান চক্র এবং আন্তর্জাতিক অস্ত্র চোরাচালান চক্রের সঙ্গে জড়িত এবং তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। এ ব্যাপারে বেশকিছু তথ্য প্রমাণ তাদের হাতে এসেছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বিএনপির অন্তত তিনজন নেতাকে মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে ডেকে প্রশ্ন করা হয়েছে যে, তারেক রহমান কিভাবে দলের নেতৃত্বে থাকে এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে থাকার যৌক্তিকতা কতটুকু? একই সঙ্গে তারা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিবাদকে লালন করা এবং তাদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা করা, তাদের আর্থিকভাবে সহায়তা করা, বিশ্বে অবৈধ মাদক এবং অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ সম্পর্কে তথ্যাদি দিয়েছে। যদিও এই তিন নেতাই বলেছেন যে, এই বিষয়টি নিয়ে কোন কিছু করার নেই। তারেক রহমানকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা হয়েছে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী। বেগম খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার ক্ষমতাবলে এই দায়িত্ব তিনি তারেক রহমানকে দিয়েছেন। কাজেই এখানে তাদের কিছু করার নেই।

জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিএনপি নেতাদের বলা হয়েছে যে, তারা যেন এই বার্তাটি হাইকমান্ডকে জানিয়ে দেন, তারেককে জানিয়ে দেন এবং সেটা যদি তারা না করতে পারে তাহলে অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনগুলোকে যেভাবে নিষিদ্ধ করা বা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেরকম আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করবে।

এ ব্যাপারে বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, বহুদিন ধরেই তাদের সঙ্গে দাতাদের সমস্যা চলছিল। যেহেতু তারেক রহমানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা স্থায়ী কমিটিরও নেই বা অন্য কারও নেই তাই এই বিষয়টি নিয়ে তাদেরকে বলার কিছু নাই।

+ There are no comments

Add yours