শূন্য থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক গোলাম মাওলা রনি

নিউজ ডেস্ক: ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দুর্নীতি থেকে শুরু করে এমন কোনো অপরাধ নেই যা করেননি গোলাম মাওলা রনি। অল্প সময়ে শূন্য দশা থেকে হয়েছেন হাজার কোটি টাকার মালিক। গড়েছেন শিল্প-কারখানা। রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট, গাড়ি-বাড়ি।

গামছা বিক্রি করে রনিদের সংসার চালাতেন বাবা শামসু মুন্সি। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হয়ে হঠাৎ করে ফুলে ফেঁপে ওঠায় তার নির্বাচনী এলাকা গলাচিপার মানুষ রীতিমতো হতবাক।

তারা বলছেন, ‘রনির বাবা গামছা ফেরি করতেন গ্রামে গ্রামে। সেই টাকায় চলতো তাদের সংসার। সেই পরিবারের ছেলে রনি এমপি হওয়ার পর যেন আলাদিনের যাদুর চেরাগ হাতে পেয়েছে। পটুয়াখালীতে হয়েছে বিঘার পর বিঘা সম্পত্তি। গাড়ি-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সব মিলিয়ে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন রনি। অথচ গোলাম মাওলা রনিদের আর্থিক দৈন্য দশা কেটেছে বেশিদিন হয়নি। এখন তারা পটুয়াখালী জেলার সবচেয়ে বড় সম্পদশালী পরিবার।

জানা যায়, যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ভাইয়ের ছেলে রনি আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী। এমপি হওয়ার পর হীন কোন অপকর্ম নেই যা করেনি গোলাম মাওলা রনি ও তার কথিত ‘ভাইয়া বাহিনী’র সদস্যরা। পটুয়াখালী জেলা এলজিইডি, সওজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, বদলি এবং টেন্ডারবাজিতে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন রনি। নিয়োগ বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, ভূমি দখল করে রাতারাতি টাকার পাহাড় গড়েন রনি ও তার কাছের লোকজন।

রনি আগে থেকেই জানতেন রাজনীতিতে তার স্থায়ী জায়গা হবে না। তাই নিজের আখের গোছাতে শিপিং ও টেক্সটাইল ব্যবসায় হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। দুদকের অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে- ‘সেবোল্ট গার্মেন্ট লিমিটেড’ মেসার্স সেবোল্ট এক্সপ্রেস, মেসার্স সেবোল্ট অ্যাডজাস্টস, নেট অ্যাকসেস, নন্দিতা এন্টারপ্রাইজ, ইন্টারন্যাশনাল মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড অ্যাডভারটাইজিং-সহ আরো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন রনি। সেসব প্রতিষ্ঠানে তার বিনিয়োগ হাজার হাজার কোটি টাকা। ধানমণ্ডির ৬/বি, নাইম রোডে এবং তোপখানা রোডে রয়েছে তার বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, পূর্বাচলে প্লটসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাট, বাড়ি এবং প্লট রয়েছে। ল্যান্ডক্রুজার প্রাডোসহ রয়েছে একাধিক গাড়ি।

বিলাসী জীবনযাপনের জন্য আখের গুছিয়ে নিয়ে নিজের ডেরায় ফিরে গেছেন গোলাম মাওলা রনি। বিএনপিতে যোগ দিয়ে যুদ্ধাপরাধী ও দেশবিরোধী শক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নে এখন নিয়মিত বর্তমান সরকার এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। স্বপ্ন দেখছেন- দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমানের যোগ্য উত্তরসূরি হয়ে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে আবারও এমপি হওয়ার। এই ভণ্ড প্রতারক থেকে সাবধান।