নিউজ ডেস্ক: মিষ্টি নায়িকা অহনা রহমান লাকি আজ এতো জনপ্রিয় হলেও এই জনপ্রিয়তার ভিড়ে তার রয়েছে কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা। অহনার অভিনেত্রী হিসেবে যাত্রা শুরু হয় ২০০৭ সাল থেকে। ২০০৮ সালে পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য হন গোলাম মাওলা রনি। এরপরই তার নজর পড়ে পটুয়াখালীর সব চেয়ে সুন্দরী মেয়ে অহনা রহমান লাকির দিকে।
গোলাম মাওলা অহনাকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে এনে বলেন, আমার সঙ্গে থাকো। আমি তোমাকে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ নায়িকা বানিয়ে দেবো। তবে নিজ যোগ্যতার ওপর বিশ্বাস ছিলো অহনার। তিনি গোলাম মাওলা রনিকে সে সময় প্রত্যাখান করলে, বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি ক্ষমতার শীর্ষে থাকা রনি। তার গ্যাং দিয়ে অহনাকে নিজ বাসা থেকে উঠিয়ে এনে, রনির নামে থাকা পটুয়াখালীর বাগান বাড়িতে রেখে দেন। সেখানে টানা ১২ দিন অহনাকে বন্দি করে পাশবিক নির্যাতন চালান এই গোলাম মাওলা রনি।
১২ দিন পর, অহনা বোধশক্তি হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে রনির লোকেরা তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ফেলে রেখে আসেন। সেখান থেকে খানিকটা সুস্থ হয়ে অহনা ও তার পরিবার সেই পটুয়াখালীর মাফিয়ার বিরুদ্ধে বিচার চাইতে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করেন। কিন্তু গোলাম মাওলা রনি প্রভাব খাটিয়ে সব মামলা সে সময় ডিসমিস করে দেন। আর অহনার পরিবারকে বলে দেন, এ বিষয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে অহনার লাশ ১২ টুকরা করে কুয়াকাটার স্রোতে ভাসিয়ে দিবে। ফলে অহনার পরিবার এ বিষয়ে চুপ হয়ে যায়।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন গোলাম মাওলা রনি। নানাবিধ কুকীর্তির কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। শুধু তাই নয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকেও নির্বাচন করছেন।
এর আগেও তার বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছিলো। টেলিভিশন টক শো’তে উচিত কথা বললেও, নিজে যে কতো সংখ্যক মেয়ের সঙ্গে অনুচিত কাজ করেছেন, এর হিসাব তার নিজের কাছেও নেই।
+ There are no comments
Add yours