নিউজ ডেস্ক: পটুয়াখালীর ছেলে হয়েও ঢাকায় এক রাজত্ব গড়ে তোলা সাইলেন্ট কিলার গোলাম মাওলা রনি। আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী হয়ে শক্তি সঞ্চয় করে ফিরে গেছে নিজের পুরনো ঠিকানা বিএনপি-জামায়াতের ছত্রছায়ায়। ২০০৮ এ আওয়ামী এমপি হয়ে পটুয়াখালীকে দুর্নীতির মহাসমুদ্র বানিয়ে ফেলেন তিনি। সে সময় বাংলাদেশের ভেতরে পটুয়াখালী ভিন্ন একটি দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়। যে দেশের একমাত্র রাজা গোলাম মাওলা রনি।
ক্ষমতার প্রতাপে দুর্নীতির সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে নারী কেলেঙ্কারিতেও জড়াতে থাকেন গোলাম মাওলা রনি। আর এসব তথ্য জনসম্মুখে আনতে গণমাধ্যম তৎপর হলে সাংবাদিককে হত্যা চেষ্টা করেন এই রনি।
দুর্নীতিসহ বাকী নোংরামি এক হাতে পরিচালনা করতে ২০১৩ সালে রাজধানীর তোপখানা রোডের মেহেরবা প্লাজায় অফিস খুলেন গোলাম মাওলা রনি। সেখানে রনির দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তিনি তাদের মারধর করেন এবং ক্যামেরা ও অন্যান্য সরঞ্জাম ভাঙচুর করেন। ঘটনার দিনই দুপক্ষই পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করলেও, সাংবাদিক নেতারা সংসদ সদস্যপদ থেকে গোলাম মাওলা রনির পদ বাতিলের দাবি তুলেন। পরবর্তীতে কারাভোগ করেন গোলাম মাওলা রনি।
জানা গেছে, সে সময় নিজ অফিসে উঠতি নায়িকা পরীমনিকে নিয়ে খোশগল্প করছিলেন রনি। আর চরম সময়ে হঠাৎ ক্যামেরার উপস্থিতি দেখে মাথা বিগড়ে যায় তার। সে সময় রনির বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করলে, পরীমনির সামনে নিজের ক্ষমতা প্রকাশ করতে গিয়ে সাংবাদিকের ওপর আক্রমণ চালায় রনি।
এরপরও সাংবাদিকদের প্রতি তার ক্ষোভ কমেনি। আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের পর সাংবাদিকদেরই দায়ী করে এই লম্পট। গোপন এক বৈঠকে রনি বলেছিলেন, ওইদিনের ঘটনায় আসলে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারিনি। মডেল-নায়িকা নিয়ে রয়েছি, এমন সময় ক্যামেরা নিয়ে কেউ ঢুকলে আসলেও মেজাজ ঠিক রাখা যায় না। কিন্তু ওরা আমার সর্বনাশ করেছে। তাই সাংবাদিকদের আমি দেখে নেবো।
পরবর্তীতে স্থানীয় সাংবাদিকদের উপরও চড়াও হন রনি। নির্বাচনী প্রচারণাতেও তাদের থাকতে দেননি। আর নিজের যত গোপন কক্ষ আছে তা কখনোই কারো সামনে আননেনি। বিশেষ করে নিজের নারী কেলেঙ্কারির ঘটনার কারণেই সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষোভ রনির।
+ There are no comments
Add yours