নিউজ ডেস্ক: অতিরিক্ত জুয়া ও নারী নেশায় মত্ত হয়ে থাকা তারেকের ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট, কমিশন বাণিজ্য, উন্নয়নের নামে বরাদ্দের টাকা ভাগাভাগি করে খাওয়া সকল কালো টাকা বর্তমানে শেষের পথে। লন্ডন বিএনপির একটি বিশ্বস্ত সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লন্ডন বিএনপি থেকে বিতাড়িত এক নেতা বলেন, বিএনপিতে প্রবেশের পর থেকে দলটির অসম দুর্নীতির সাক্ষী হয়ে সহ্য করতে না পেরে দল ছেড়ে দিয়েছিলাম। বলতে দ্বিধা নেই তারেক রহমানের লাগামহীন দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ পর পর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়। তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারের ওপর ছড়ি ঘোরাতে বনানীতে হাওয়া ভবন নামে প্যারালাল সরকার গঠন করে সেখান থেকে দেশের প্রতিটি উন্নয়ন খাতে কমিশন নির্ধারণ করতেন তারেক রহমান।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে এক যুগের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় না থাকা, লন্ডনে অতিরিক্ত আয়েশি জীবন ও ক্যাসিনোগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত জুয়া খেলায় হারার কারণে তারেক রহমানের দুর্নীতি করে কামানো অর্থ বর্তমানে শেষের পথে। এখন তিনি দেশে থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের থেকে অর্থ সহায়তা চাইছেন।
বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, যেখানে আমাদের দল পরিচালনার জন্য অর্থ চাওয়ার কথা, সেখানে তারেক রহমান উল্টো আমাদের কাছে অর্থ চাইছেন। বর্তমানে আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও মির্জা আব্বাস অর্থ প্রদানে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এখন দল পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
মূলত তারেক রহমানের বেপরোয়া রাজনীতিই বিএনপিকে নিঃশেষ করে দিয়েছে। বর্তমানে তারা দল পরিচালনায়ও ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। এমন চলতে থাকলে বিএনপির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
+ There are no comments
Add yours