বাংলাদেশেও উন্মুক্ত কারাগার হচ্ছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

1 min read

উন্নত দেশেরমতো বাংলাদেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, কক্সবাজারের উখিয়ায় উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মালয়েশিয়ার কমিউনিটি রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রামের (সিআরপি) আদলে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের জন্য কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলায় ১৬০ একর জমি বন্দোবস্ত পাওয়া গেছে। উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশে বর্তমান সরকারের বিগত তিন মেয়াদে ৮৩ হাজার ৫৭৭টি পদ বাড়ানো হয়েছে। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব পদে জনবল নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ও অভিযান পরিচালনার জন্য এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরের জন্য দুটি অত্যাধুনিক হ্যালিকপ্টার সংযোজনের কার্যক্রম চলমান আছে।

তিনি জানান, পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের যুগোপযোগী আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। পূর্বে ব্যবহৃত পয়েন্ট ৩০৩ রাইফেলের পরিবর্তে বর্তমানে ৭ পয়েন্ট ৬২ মিলিমিটার রাইফেল ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ছাড়া পুলিশ সদস্যদের ৭ পয়েন্ট ৬২/৯ এমএম পিস্তল, ৯ এমএম এসএমজি, পয়েন্ট ৪৫ ইঞ্চি এসএমজি, ১২ বোর শটগান, ৩৮ মিলিমিটার টিয়ারগ্যাস, গ্যাসগান বা লঞ্চারসহ প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সরবরাহ করা হচ্ছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি এরইমধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অত্যাধুনিক অস্ত্র, যানবাহন, আকাশযান ও জলযান দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে।

এদিকে, সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মোস্তাক আহমেদ রুহীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২০২৩ সালে ৯৭ হাজার ২৪১টি মামলা দায়েরপূর্বক ১ লাখ ২০ হাজার ২৮৭ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এ সময়ে ৩১ হাজায়ে ৩১ হাজার ৬২২ বোতল ফেনসিডিল, ৭২.৮২৮ কেজি হেরোইন, ১৮৬.৬৩২ কেজি আইস এবং ২ লাখ ৭৫ হাজার ৫৭১ পিস টাপেন্টাডল ট্যাবেলট জব্দ করা হয়েছে।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours