চাঁদাবাজিতেই ব্যস্ত নেতারা, আন্দোলন কবে করবে বিএনপি?

1 min read

বিএনপির মহাসচিব থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতারা প্রায়ই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কথা বলেন। সভা-সমাবেশ, অনলাইন আলোচনা সব জায়গায় এক কথা– আন্দোলন করতে হবে। কিন্তু আন্দোলনের জন্য যে প্রস্তুতি দরকার, নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনা তৈরি করা দরকার সেদিকে নজর নেই দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের। মুখে আন্দোলনের কথা বললেও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা চাঁদাবাজিতে ব্যস্ত এমন অভিযোগ দলের মাঠপর্যায়ের নেতাদের।

এদিকে বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বৃহস্পতিবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দলের নেতাদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘পদ-পদবির জন্য আমরা নেতাদের বাড়িতে দৌঁড়াই নাই। আমরা পদ-পদবি ছাড়াই কাজ করেছি। এখন সত্যি কথা বলতে, ওই দিন বিএনপির এক নেতা বলল যে ভাই, এখন হাট খায়, বাজার খায়, তারপরে কি বলে টাকা খায়, বিকাশ খায়। আমি কিছু বুঝি নাই। কি কয়! আমার জীবনে এই সমস্ত ডায়লগ শুনি নাই। ব্যাখ্যা জানতে চাইলে বলেন, না, বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠায় তো। আমাদের সংগঠনগুলোর মধ্যে অনেকেরই এই বাজে অভ্যাসটা হয়ে গেছে। অনৈতিক একটা ব্যবস্থা চালু হয়েছে।’

তার এই বক্তব্যের পর জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির মধ্যম সারির কয়েকজন নেতা বলেন, আব্বাস ভাই যা বলেছেন সেটা সত্য। তবে তিনি আংশিক সত্য বলেছেন। টাকা ছাড়া বিএনপিতে কমিটি হয় না, টাকার একটা ভাগ যায় লন্ডনে। বড় নেতারা লন্ডনে টাকা পাঠিয়ে পদে আছেন। ফলে মধ্যম সারির কিংবা তৃণমূলের কমিটির সময় আবার কেন্দ্রীয় নেতারা টাকা নেন। এভাবেই সব চলছে।

তবে মির্জা আব্বাস এই ব্যবস্থাকে অনৈতিক বললেও তিনিও এই কর্মে জড়িত বলে দাবি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর। তিনি বলেন, আব্বাস সাহেব নিজেই ঢাকা দক্ষিণের কমিটিতে নিজের লোক বসিয়ে বাণিজ্য করেছেন। এখন বড় বড় কথা বলছেন। আসলে উপরে সব পচে গেছে। ফলে আন্দোলনের কথা মুখে মুখেই। আমার মত রাজপথে কয়জন থাকে?

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিএনপিতে টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রি হয় এসব তো পুরাতন অভিযোগ। মির্জা আব্বাস সাহেব স্বীকার করেছেন, এটি ভালো কথা। তবে যে কোন সংগঠনের ওপরে থেকে শেষ পর্যন্ত একটা চেইন অব কমান্ড থাকে। উপরে দুর্নীতি না হলে নিচের দিকের নেতারা দুর্নীতির সাহস পেতেন না। তারেক রহমান নিজেই দুর্নীতিবাজ। তার মত অর্থলোভীর হাতে বিএনপির নেতৃত্ব থাকলে চাঁদাবাজিই চলবে, বিএনপি আন্দোলন করতে পারবে না, সরকারও পরিবর্তন হবে না।

+ There are no comments

Add yours