জিয়া ছিলেন পাকিস্তানের গুপ্তচর, আর খালেদা তাদের মনোরঞ্জনকারী

1 min read

নিউজ ডেস্ক: জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা স্বামী-স্ত্রী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তারা দুজনে মিলে পাকিস্তানের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। স্বামী পাকিস্তানের হয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করেছেন আর স্ত্রী তাদের মনোরঞ্জন করে আরাম আয়েসে পাকিস্তানি ক্যাম্পে দিন কাটিয়েছেন।

ইতিহাস বিশ্লেষণ করে জানা যায়, পাকিস্তানিরা তৎকালীন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর জিয়ার সুন্দরী স্ত্রী খালেদাকে জোর করে পাকিস্তানি ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়। অনেকে আবার বলেন-তিনি স্বেচ্ছায় গিয়েছিলেন।

সে সময় পাকিস্তানিরা ২ লক্ষ মা বোনকে ক্যাম্পে নিয়ে হত্যা-ধর্ষণ-নির্যাতন করলেও একমাত্র খালেদা জিয়া আরামে ক্যান্টনমেন্টে থেকেছেন। পাকিস্তানি মেজরদের সাথে তার মধুর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। মেজর হাফিজের বইতে উল্লেখ আছে, মেজর জিয়া সেই সময়ে ৪ বার খালেদা জিয়াকে আনতে লোক পাঠালেও খালেদা জিয়া আসেননি।

আরও জানা যায়, সে সময় পাকিস্তানি সেনাদের মনোরঞ্জন করে লাখ লাখ রুপি কামাই করেছিলেন জিয়ার স্ত্রী খালেদা। সেনা কর্মকর্তারা খুশি হয়ে তাকে শিফনের শাড়ি উপহার দিতেন। পরবর্তীতে নানা পটপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়াকে অর্থ দিয়ে সহযোগিতাও করেছিল পাকিস্তান। যা স্বীকার করেছিল পাকিস্তানের আইএসআই প্রধান।

এদিকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনা ক্যু’র মাধ্যমে জাতির পিতাকে সপরিবারে (দুইজন ব্যতীত) নির্মমভাবে হত্যার মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমানও ছিলেন মূলত একজন পাকিস্তানি গুপ্তচর। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানের হয়ে কাজ করেছেন তিনি। যার প্রমাণ মেলে জিয়াকে পাঠানো পাকিস্তানি জেনারেল টিক্কার অনুসারী কর্নেল বেগের চিঠি থেকে।

চিঠির তথ্যমতে, জিয়া কখনও বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন না, তিনি ছিলেন পাকিস্তানের ‘গুপ্তচর’। আর এ কারণেই ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জিয়া মোশতাক চক্রকে সাথে নিয়ে ইতিহাসের বর্বোচিত ঘটনা ঘটান। এ কারণেই, ৭৫ এর পর জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করেছিলেন। যুদ্ধাপরাধে আটকদের মুক্তি দিয়েছিলেন। এজন্য জিয়া গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন। একারণেই জিয়া আবার জামাতকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন। এছাড়া জিয়া চিহ্নিত স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতা বিরোধীদের মন্ত্রী বানিয়ে দলে নিয়েছিলেন। এত সব সম্ভব করতে গিয়ে দেশের সংবিধান কাঁটাছেড়া করে রক্তাক্ত করেছিলেন তিনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধূলিসাৎ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours