মার্কিন সাহায্যের পরিমাণ কমে যাওয়ায় ইউক্রেনের নিজেকে রক্ষা করার ক্ষমতাও কমছে বলে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন মনে করেন। তবে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সমর্থনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তারা কিছুতেই কিয়েভের পতন হতে দেবেন না।
জার্মানির রামস্টাইন বিমানঘাঁটতে সহযোগী দেশগুলির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে অস্টিন বলেছেন, ইউক্রেনের বিপদ বাড়ছে। তাদের টিকে থাকাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমাদের শরিক ও সহয়োগী দেশগুলিকে আরো উদ্যোগী হতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রকেও হতে হবে। মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তারা এখনো ইউক্রেনের জন্য ছয় হাজার কোটি ডলারের প্যাকেজ অনুমোদন করেনি। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অর্থসাহায্য কমে যাওয়ার প্রভাব এখন ইউক্রেনের উপর বিপুলভাবে পড়ছে।
হোয়াইট হাউস বারবার ইউক্রেনকে সমর্থন করে যাওয়ার কথা বলছে। কিন্তু এখন ইউক্রেনকে সাহায্য করার দায় ইউরোপের দেশগুলির উপর এসে পড়েছে। জার্মানি মঙ্গলবার ইউক্রেনের জন্য ৫০ কোটি ইউরোর প্রতিরক্ষা প্যাকেজের কথা ঘোষণা করেছে। জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে তার মনে কোনো সন্দেহ নেই।
ইইউ-র পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বরেল বলেছেন, ইইউ রাশিয়ার যে সম্পদ ফ্রিজ করে রেখেছে, তার থেকে যে আয় হয় তার ৯০ শতাংশ ব্যবহার করে ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র কেনা যেতে পারে। বরিস বলেছেন, ‘এই সব সম্পদ থেকে যে আয় হচ্ছে তা ইউরোপীয় পিস ফেসিলিটি তহবিলে যাবে। সেই অর্থ ইউক্রেনের জন্য ব্যবহার করা হবে।’ বরেল বলেছেন, ‘আমরা যদি এই কাজ করি, তাহলে রাশিয়া খুশি হবে না। কিন্তু এই অর্থের পরিমাণ বছরে তিনশ কোটি ডলার।’
বৃহস্পতিবার থেকে ইইউ দেশগুলির দুই দিনের শীর্ষবৈঠক শুরু হচ্ছে। সেখানে এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে তারা এই সপ্তাহেই সিদ্ধান্ত নেবেন, এমন নাও হতে পারে। ইউরোপে রাশিয়ার সম্পদের মধ্যে ৭০ শতাংশই আছে বেলজিয়ামের ইউরোক্লিয়ারে। সেখানে রাশিয়ার ১৯ হাজার কোটি ইউরোর সম্পদ আছে। বরেলের প্রস্তাব, রাশিয়ার সম্পদ থেকে যে অর্থ আসবে, তার ৯০ শতাংশ দিয়ে ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র কেনা হোক। বাকি ১০ শতাংশ ইইউ-র কেন্দ্রীয় বাজেটে যাক। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
+ There are no comments
Add yours