নিউজ ডেস্ক : দীর্ঘ ১৫ বছর নির্বাসনে থেকে দেশে ফিরেই গ্রেপ্তার হয়েছেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনওয়াত্রা। দেশের মাটিতে পা রাখার পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার করে তাকে আদালতে নেওয়া হয়েছে, সেখান থেকে নেওয়া হয়েছে জেলে। একই পরিণতি হবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানেরও। আর গ্রেপ্তার হবে দেখেই দেশে ফেরার মতো ভুল করবেন না দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমান।
দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের একাধিক অভিযোগে থাকসিনের প্রায় ১০ বছরের সাজা রয়েছে। তারেকের বিরুদ্ধেও ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবনসহ চার মামলায় সাজা রয়েছে।
থাকসিনের তার দেশ এবং তার রাজনৈতিক দল ফিউ থাই পার্টির প্রতি একটু হলেও কমিটমেন্ট ছিলো বলে তিনি দেশে ফিরে বিচারের সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু তারেক রহমান মৃত্যুশয্যায় মা খালেদা জিয়াকে একটি বারের জন্য দেখতে আসেননি তার আয়েশি জীবন ছেড়ে। বিএনপির নেতারাও বলেছে, ১০ তারিখের পর দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। কিন্তু ১০ তারিখ যাচ্ছে আর আসছে কিন্তু তারেক রহমান দেশে আসছেন না।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলার যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। এছাড়া দুর্নীতিসহ আরো তিনটি মামলায় সাজা পাওয়া পলাতক আসামি তারেক।
ব্রিটিশ আইনজীবীরা বলছেন, পরোয়ানা ও দণ্ডাদেশ নিয়ে বাংলাদেশে পা দিলেই পা দেয়া মাত্র গ্রেপ্তার হবেন, বিএনপির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা।
ব্রিটিশ মানবাধিকার আইনজীবীরা ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, তারেক রহমান দেশে ফিরলেই গ্রেপ্তার হবেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ান ছাড়াও দণ্ডাদেশ রয়েছে। ফলে বাংলাদেশে পা দিলেই গ্রেপ্তার হবেন তিনি।
তাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, থাকসিন সিনওয়াত্রার মতো ভুল করবেন না তারেক রহমান। কারণ, লন্ডনে বসেই কোটি কোটি টাকা পাচ্ছেন তিনি। বিএনপিকে যা বলছে বিএনপি নেতারা তাই করছে। টাকা চাইলে নেতারা টাকা পাঠাচ্ছে, মদ, পার্টি নারী নিয়ে ফূর্তি করছে। এসব ছেড়ে দেশে ফেরার মতো ভুল করবেন না তারেক।
+ There are no comments
Add yours