সামাজিক মাধ্যমে হিংসা ছড়াচ্ছে কারা?

1 min read

নিউজ ডেস্ক: সামাজিক মাধ্যমে একটা ইস্যু পেলেই হলো। এ নিয়ে জমিয়ে আলোচনা চলতেই থাকে। কোনো খুঁত পাওয়া গেলে সবাই সাধু সেজে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়ে। সমালোচনা করা, গালাগালি করা সহজ। কিন্তু মানুষের পাশে দাঁড়ানো, মানবতার জন্য কাজ করা অনেক কঠিন। সমসাময়িক বিদ্যুৎ ইস্যুতে এমনটিই লক্ষ্য করা গেছে। আর এমন পরিস্থিতি তৈরির পেছনে একটি বিশেষ মহলের হাত রয়েছে। তা আর অন্য কিছু নয়, খোদ বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি।

এই ফেসবুক-ইউটিউবের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্মে বিএনপি-জামায়াত থেকে শুরু করে সরকারবিরোধী নানা দল মসলা মাখিয়ে জনগণকে হিংসাত্মক ও নেতিবাচক করে তোলার কাজটি করছে অতি সূক্ষ্মভাবে। উগ্র ধর্মান্ধ ও দেশবিরোধী অপশক্তির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে এ ঘৃণা ছড়াতে। এর সিংহভাগই পাকিস্তানপন্থী বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মী। বাকিরা তাদের গুজবে আইওয়াশ হওয়া সাধারণ জনগণ।

জামায়াত তথা ৭১ এ পরাজিত এই অকৃতজ্ঞ রাজাকার শাবকরা ১৪ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেলেও বৈশ্বিক সমস্যার কারণে ১৪ দিন কিছুটা বৈদ্যুতিক গোলযোগ দেখেই বিগত ১৪ বছরের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা পাওয়ার কথা ভুলে গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়াচ্ছে হিংসা ও অকৃতজ্ঞতার বিষবাষ্প। কিন্তু দুদিন যেতে না যেতেই বিদ্যুৎ পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক হয়ে এলো তখন সরকারকে ধন্যবাদ পর্যন্ত দিতে দেখা যায়নি।

দেশের ভালো না চাওয়া এই বিএনপি-জামায়াতের মূল আদর্শ এক, উদ্দেশ্য এক। এরা কখনোই ভালো হওয়ার নয়। বলে রাখা ভালো, বিএনপির বি টিম হিসেবে কাজ করছে জামায়াত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হিংসা ছড়ানো এই জামায়াত-শিবিরের কৌশল এতোটাই সূক্ষ্ম ও ভয়ংকর যে সহজে এদের কর্মপদ্ধতি ধরা কঠিন। এরা ধর্মের দোহাই দিয়ে জনগণকে এদের প্রতি আকৃষ্ট করে। এরপর এদের প্রতি কিছুটা ইতিবাচকতা তৈরি হয়ে গেলে এরা তাদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য জনগণকে ব্যবহার করা শুরু করে। এদের কৌশল অত্যন্ত মারাত্মক।

এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক এ আরাফাত বলেন, বিএনপি কিংবা জামায়াত-শিবিরের ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। এরা সুযোগ পেলেই দেশের শান্তি এমনকি স্বাধীনতা বিকিয়ে দিতে দ্বিধা পর্যন্ত করবে না।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours