নিউজ ডেস্ক : শনিবার ১০ জুন রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি ছাড়া সমাবেশ করলো জামায়াতে ইসলামী। বিএনপিকে বাদ দিয়ে এ সমাবেশে নিজেদের সামর্থ্য জানান দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে জামায়াত। যদিও লোক সমাগম হয়েছে হাতে গোনার মতো।
এর আগে দলটির পক্ষ থেকে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। তবে জামায়াতের অতীত ইতিহাস বিবেচনায় ডিএমপি সেখানে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি।
বিগত ৫ বছরে বিএনপির করা কোনো সমাবেশে জামায়াতকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। যার প্রতিশোধ নিতে, জামায়াতের এবারের সমাবেশে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানালো হলো না। এছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। কিন্তু জামায়াতের আচরণ জানান দিচ্ছে, তারা নির্বাচনে অংশ চায়। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তারা ভিন্ন নামে এককভাবে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা সাজিয়েছে বলে জানা যায়। আর এই খবর ফাঁস হতেই জ্বলে উঠেছে বিএনপি। কেননা জামায়াত যদি নির্বাচনে অংশ নেয়, তবে বিএনপির সকল পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে। আর তাতে কিছু আসন পাবে জামায়াত।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, জামায়াত একটি ঐতিহ্যবাহী দল। কিন্তু তাদের দল-পাল্টানো মনোভাব এখনো যায়নি। স্বার্থের পিছনে ছুটে এবার ওরা নির্বাচন করলে ক্ষতিটা আমাদেরই হবে।
এ ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা: সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, বিএনপির মোনাফেকি কর্মকাণ্ডে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাদের সাথে কোনো আন্দোলনে আমরা নেই। এ কারণে আমরা এককভাবে সমাবেশে অংশ নিচ্ছি। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হলে আমরা নিবন্ধিত কোনো দল ও প্রতীক পেলে নির্বাচনের জন্য তৈরি। ইতিমধ্যে আমরা ৩০০ আসনের প্রার্থীর তালিকাও তৈরি করেছি।
+ There are no comments
Add yours