বিএনপির তৃণমূল নেতাদের জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির নির্দেশ, তবে…

1 min read

নিউজ ডেস্ক: বিএনপির তৃণমূলের নেতৃবৃন্দকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লন্ডন থেকে পাঠানো এক বার্তায় পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

এ নিয়ে দলের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য। দলের কোন কেন্দ্রীয় নেতা এই সম্পর্কে কিছু জানে না। কিন্তু প্রত্যেকটি জেলায় সংশ্লিষ্ট নেতাদের কাছে তারেক ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে বলেছেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে এবং আগামী জুনের মধ্যে তার কাছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করে পাঠাতে হবে।

শুধু যে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েছেন তা কিন্তু নয়। এরপর তিনি বিশেষভাবে ঘনিষ্ঠ কিছু তৃণমূল নেতার সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আরো কিছু নির্দেশনা দেন। বিশেষ এই ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়েছিলো এক সময়কার বিএনপির (তারেক-মামুন-মানিক) ত্রিরত্নের এক রত্ন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহারসহ আরো বেশ কিছু জেলা নেতৃবৃন্দ। এ বৈঠকে তৃণমূলের নেতাদের মধ্যে দ্বায়িত্ব বন্টন করা হয়।

চাঁদপুরের ক্যাঁকড়া মানিক নামে খ্যাত বিএনপি নেতাকে নির্বাচনের তহবিল সংগ্রহের দ্বায়িত্ব দেয়া হয়।
বিএনপির একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, শুরুতে হেয়ালি করলেও জাতীয় নির্বাচনে তারা অংশ নিবে। দলকে পুন:গঠনের আবারো চাঁদাবাজির পথ বেছে নিয়েছে তারেক। গোপন ভিডিও কনফারেন্সে নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা মানিককে বলেন, দলের যেসকল নেতাকর্মী নির্বাচনে প্রার্থী হতে চায়। তাদের নাম ও কে কত অনুদান দেবে তা উল্লেখ করে তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশ দেন তারেক।

এছাড়াও তারেক রহমান নিয়ন্ত্রিত একটি প্রতিষ্ঠান, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়কের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষ টিমের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যাপারে মাঠ জরিপ করা হচ্ছে।

এ ধরনের পদক্ষেপগুলোর ফলে বিএনপির মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। তাহলে কি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বাইরে গিয়ে বিএনপি নির্বাচন করবে?

এ প্রশ্নের উত্তরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা বলেছেন, আমরা কখনো বলিনি যে আমরা নির্বাচনে যাব না আমরা নির্বাচনে যাব এবং নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত। তিনি আরো বলেন, আমরা যেহেতু নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছি এবং আমরা জানি যে এ দাবি অর্জন করা সম্ভব। তাই আমাদের যে নির্বাচন প্রস্তুতি- সেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই আমরা প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করছি। নির্বাচনের প্রস্তুতি আন্দোলন সঙ্গে পাশাপাশি চলবে।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলেছেন, নতুন ভিসা নীতির ফলে এটা সুস্পষ্ট হয়ে গেছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় বিএনপি অংশগ্রহণ করুক এবং বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন করুন। আর সেই নির্বাচনের যদি বিএনপি অংশগ্রহণ না করে, নির্বাচনে যদি বাধা দেয়- তাহলে সেটি মার্কিন নতুন ভিসা নীতির পরিপন্থী হবে এবং এর ফলে বিএনপি নেতৃবৃন্দ মার্কিন ভিসা বঞ্চিত হতে পারেন। বিএনপির এ নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। এর আগেও বিএনপির একাধিক নেতা মার্কিন ভিসা বঞ্চিত হয়েছিলেন নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য, জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার জন্য। আর তাই এবার বিএনপি নতুন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরাগভাজন হতে চায় না।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours