যে কারণে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে না বিএনপির একটি পক্ষ

1 min read

নিউজ ডেস্ক: ২৯ মে থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালনে মঙ্গলবার (১৬ মে) দলের একটি পক্ষ থেকে ১৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হলেও অন্য পক্ষ থেকে কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়নি। এ নিয়ে দলের বিভক্তি চরমে এসেছে।

যার মাধ্যমে স্বৈরশাসক জিয়ার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশ্যে এসেছে বিএনপির বিভক্তি। তবে বিভক্তির কারণ জানতে গিয়ে জানা যায়, দলটির একাংশের নেতারা মনে করেন, জিয়াউর রহমানের হত্যার বিচার করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বিচার করেননি খালেদা জিয়া। উল্টো খুনিদের সাথে হাত মিলিয়েছিল। মূলত এই বিষয়টি নিয়েই বিএনপিতে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক নেতা জানায়, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। শেখ মুজিবের খুনিদের বিচারের আওতায় আনা প্রায় অসম্ভব ছিল। সেখান সকল বাধা-বিপত্তি পার করে খুনিরে বিচার কার্যকর করেছেন। কিন্তু বিএনপিতে এমন কোনো চেষ্টাই দেখা যায়নি।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতার গদিতে তিন তিন বার বসেছে কিন্তু তার স্বামীর হত্যার বিচার করার বিন্দু মাত্র আগ্রহ দেখাননি। ক্ষমতার মোহে সব ভুলে গিয়েছিলেন। আর এখন জিয়ার জন্মবার্ষিকী মৃত্যুবার্ষিকী এলে এত আয়োজন করে লাভ কি? বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হওয়ার পর বিএনপির অনেক নেতাদের মনেই এ প্রশ্ন এসেছে। কিন্তু তাদের কিছু করার নেই। এখন নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা করছে। দলের স্বার্থের নামে নেতাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বরা।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিভুরঞ্জন সরকার বলেছেন, বিএনপিতে বিভক্তি আরো আগেই শুরু হয়েছে। দলটির মধ্যে অল্প সংখ্যক হলেও সত্যিকারের রাজনীতিবিদ আছেন যারা জিয়াকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে চায় না। কারণ তারা জানেন জিয়া ছিলেন একজন মিলিটারি ডিক্টেটর। তিনি কোনোদিন রাজনীতি বোঝেননি। রাজনীতিকে শ্রদ্ধাও করেনি। তাই তারা জিয়াকে বিএনপির লোক দেখানো রাজনীতি থেকে দূরে থাকেন। আর এখন যেহেতু দলটির দুঃসময় যাচ্ছে অনেক নেতাই প্রকাশ্যে তাদের মনের কথা বলবেন।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours