ব্রেকিং: প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ নিয়ে বিএনপির চাঁদাবাজি শুরু

1 min read

নিউজ ডেস্ক : অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্রে বাতাসে সর্বোচ্চ গতিবেগ উঠে যাচ্ছে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত, যা আরো বাড়বে। তাই সকল সমুদ্রবন্দরে দুই নম্বর সংকেত নামিয়ে তোলা হয়েছে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেতের মানে হচ্ছে বন্দর ঘূর্ণিঝড় কবলিত। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টি, প্রবল ঝোড়ো হাওয়া, বজ্রবৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হতে পারে। প্রবল বৃষ্টির ফলে ভূমিধস হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এমতাবস্থায় সুযোগ সন্ধানী বিএনপি মোখায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার নামে আগাম চাঁদাবজি শুরু করে দিয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোখার আতঙ্ক এখন উপকূলজুড়ে। সুপার সাইক্লোন সিডর এবং ঘূর্ণিঝড় আইলা ও আম্ফানের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা উপকূলের মানুষ এখন অজানা আশঙ্কায় দিন গুণছেন। ইতোমধ্যে ত্রাণ সামগ্রী থেকে সাইক্লোন শেল্টার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সরকার। আর দুর্গত মানুষের অসহায়ত্ব পূঁজি করে ব্যবসা শুরু করেছে বিএনপি।

বিএনপির একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র বাংলানিউজ ব্যাংককে জানায়, ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহযোগিতার নামে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছ থেকে নগদ অর্থ আদায়ের জন্য ফান্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছে লন্ডনে পলাতক তারেক রহমান। পদ-পদবি ভেদে চাঁদা দিতে বলা হয়েছে। এরমধ্যে দলের যে কয়জন ব্যবসায়ী নেতা রয়েছেন তাদের প্রত্যেককে নূন্যতম ৫ লক্ষ টাকা ফান্ডে জমা দিতে বলেছেন তারেক রহমান।

এছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য থেকে শুরু করে চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান ও যুগ্ম মহাসচিবদের চাঁদা হিসেবে প্রত্যেককে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে যে কেউ চাইলে দল নির্ধারিত সর্বনিম্ন পরিমাণের চেয়েও বেশি টাকা দিতে পারবেন।

এদিকে ত্রাণ সহযোগিতার নামে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক এমন চাঁদা উত্তোলন নিয়ে দলের মধ্যে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে দলটির এক প্রভাবশালী নেতা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকায় বিএনপির অনেক কেন্দ্রীয় নেতা এখন মানবিক জীবনযাপন করছেন। সহযোগিতা করার বদলে উল্টো তাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করা একপ্রকার অন্যায়। তাছাড়া ঘূর্ণিঝড় কবলিতদের সাহায্যের নামে যে চাঁদা তোলা হচ্ছে মূলত তা চলে যাবে লন্ডনে তারেক সাহেবের বিলাসিতার জন্য।

আরেক বিএনপির নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দল থেকে চাঁদার ফি নির্ধারণ করে দেয়া হবে কেন? সাহায্য-সহযোগিতা যদি হয় যে যার সামর্থ্য মতো দেবে। দুর্যোগ আসলেই তারেক সাহেব চাঁদাবাজি করার নতুন সুযোগ পান। আর কিছু বিএনপি নেতারাও বড় অংকের টাকা সাইড করতে পারে এই উছিলায়।

রাজনৈতিক বিজ্ঞজনরা বলছেন, বিএনপি এর আগে বন্যার্তদের সাহায্যের নামে চাঁদাবাজি করেছেন। কিন্তু সেই সাহায্য বন্যা কবলিতরা পায়নি। কোথায় বিএনপি নেতাদের ত্রাণ দিতে দেখা যায়নি। পরে জানা যায়, সেই চাঁদার টাকা লন্ডন চলে গেছে। এখন আবার প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানার আগেই চাঁদাবাজি শুরু করেছে দলটি। ক্ষমতায় থাকতে যেমন জনগণের টাকা মেরে বিদেশে পাচার করেছে এখন মানুষের অসহায়ত্ব পূঁজি করে অর্জিত টাকা লন্ডন পাঠাচ্ছে।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours