‘দেশে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকলে উন্নয়ন ও অগ্রগতি এগিয়ে যায়’

1 min read

জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা, আইনের শাসন ও অব্যাহত আর্থসামাজিক উন্নয়নে সকল রাজনৈতিক দল, শ্রেণি ও পেশা নির্বিশেষে সকলের ঐক্যমত্য গড়ে তোলার সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন। জাতীয় ঐকমত্য ব্যতীত শান্তি ও সমৃদ্ধি স্থায়ী রূপ পেতে পারে না।

সম্প্রতি জাতীয় সংসদে সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আনা ১৪৭ বিধির সাধারণ প্রস্তাব ও অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে রওশন এরশাদ এসব কথা বলেন।

বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, আমরা যখন সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি, তখন একাদশ জাতীয় সংসদ চলমান। এটা অনেক গৌরবের। আমাদের সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন নারী, বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে আমি একজন নারী, স্পিকার আপনি একজন নারী, জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী একজন নারী। যেটা দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত এবং এটি আমাদের ইতিহাসেরও অংশ হয়ে থাকবে।

তিনি বলেন, আইনসভায় প্রণীত আইনের মাধ্যমে একটি রাষ্ট্রের সার্বিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। দ্রুত পরিবর্তনশীল এই আধুনিক সমাজের কল্যাণে নতুন ও যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করা জাতীয় সংসদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। প্রচলিত ধারা অনুযায়ী আইন প্রণয়নে সরকার যদিও উদ্যোক্তার ভূমিকা পালন করে কিন্তু সংসদের সম্মতি ব্যতীত কোনও আইন প্রণয়ন সম্ভব নয়।

জাতীয় সংসদ দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রবিন্দু উল্লেখ করে রওশন এরশাদ বলেন, দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধিকে স্থায়ী রূপ দিতে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

ভাষণে জাতীয় সংসদকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, “উন্নয়ন ও গণতন্ত্র একসঙ্গে চলে। দেশে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকলে উন্নয়ন ও অগ্রগতি এগিয়ে যায়। আবার গণতন্ত্রের স্বাভাবিক গতিপথ রুদ্ধ হলে উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হয়। উন্নয়নকে স্থায়ী ও টেকসই করতে হলে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মজবুত করতে হবে।

শত প্রতিকূলতা, বাধা-বিপত্তি ও বৈরিতার মধ্যেও দেশে সুশাসন সুসংহতকরণ এবং গণতন্ত্র চর্চা ও উন্নয়নে কর্মসূচিতে তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আমাদের কাজ করে যেতে হবে বলে মনে করেন রওশন এরশাদ।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours