যেভাবে হাজার কোটি টাকার মালিক হলেন আরাভ খান

1 min read

নিউজ ডেস্ক: পুলিশ হত্যাসহ অস্ত্র ও নারী নির্যাতনের ১২ মামলার দেশ পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের হঠাৎ বড়লোক হয়ে ওঠার পেছনের রহস্য খুঁজতে মাঠে নেমেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তারা বলছে, দুবাইয়ে আরাভের জুয়েলারি ব্যবসার শত শত কোটি টাকার উৎস কী, সেটা জানার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি কোন মাধ্যমে টাকাগুলো দেশের বাইরে পাচার হয়েছে, সেটাও অনুসন্ধান চলছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট পদস্থ কর্মকর্তারা বলছেন, দুবাইয়ে তার টাকার উৎস বৈধ না অবৈধ, সেটা বের করা খুব বেশি কঠিন হবে না।

ইতিমধ্যে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিংয়ের (এপিজি) সহায়তায় টাকার উৎস নিশ্চিত করা সক্ষম হয়েছে। জানা যায়, সোহাগ মোল্লা ওরফে আরাভ খান আশুতিয়া গ্রামের দিনমজুর মতিয়ার রহমান মোল্লার ছেলে। মতিয়ার রহমান মোল্লা এক সময় বাগেরহাট জেলার চিতলমারি উপজেলায় ফেরি করে সিলভারের হাড়ি পাতিল বিক্রি করতেন। এখানেই ১৯৮৮ সালে সোহাগ মোল্লার জন্ম হয়। ২০০৫ সালে চিতলমারি সদরের একটি বিদ্যালয় থেকে সোহাগ মোল্লা এসএসসি পাশ করে। দারিদ্র্যতার কারণে এরপরে আর তার লেখাপড়া হয়নি। চিতলমারি থেকে ২০০৮সালে ভাগ্যের অন্বেষণে সে ঢাকা চলে যায়। ঢাকা গিয়ে নাম পরিবর্তন করে হয়ে যায় মোল্লা আপন। সে সময়ে বিএনপি নেতা হাবিব-উন নবী খান সোহেলের দ্বারা হৃষ্টপুষ্ট হতে থাকেন আরাভ। জড়াতে থাকেন অপরাধ জগতে।

এক সময় তারেক রহমানের দুর্নীতির অনেক প্রমাণাদি পুলিশ কর্মকর্তা মামুন এমরানের কাছে চলে আসে। বিএনপির জন্য শাপে বর হয়ে ওঠে পুলিশ কর্মকর্তা মামুন। এরপর তারেকের নির্দেশে আরাভ খানের বাসায় খুন করা হয় পুলিশ কর্মকর্তা মামুনকে। এরপর আরাভের নামে মামলা হলে তারেক রহমান আরভকে প্রথমে ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিয়া থেকে দুবাই বিএনপি নেতা মোহাম্মদ নুরুল আলমের কাছে পাঠিয়ে দেন। যিনি দুবাই বিএনপির সভাপতি ছিলেন।

মূলত দুবাই গিয়ে সে দেশে অবস্থিত তারেক রহমানের হাজার কোটি টাকার একাধিক ব্যবসা আরাভকে বুঝিয়ে দিতে থাকেন নুরুল আলম। এরই মধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২০২১ সালে ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকাল চারটায় আমিরাতের রাস আল খাইমার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন দুবাই বিএনপির সভাপতি ও দুবাই কেন্দ্রিক তারেক রহমানের ব্যবসা সামলানো নেতা নুরুল আলম।

এরপর থেকে দুবাইয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তারেক রহমানের প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার ব্যবসার পুরোটার নিয়ন্ত্রণ পেয়ে বসেন আরাভ খান। আর মুহূর্তের মধ্যেই ফেরিওয়ালার ছেলে হয়ে যায় হাজার কোটি টাকার মালিক।

মূলত এভাবেই ফেরিওয়ালার ছেলে এক দেড় বছরের মধ্যে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে যান।

+ There are no comments

Add yours