আমানউল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে ভয়াবহ অভিযোগ বিএনপির

0 min read

নিউজ ডেস্ক: আন্দোলনের নামে নাশকতা ও পুলিশ পেটানোর মামলায় বিএনপির সিনিয়র সব নেতা আছেন কারাগারে। ফলে দায়িত্ব পালনের ভার পড়েছে খন্দকার মোশাররফ ও আমানউল্লাহ আমানদের মতো নেতাদের কাঁধে। এই করে ক্ষমতার অপব্যবহার শুরু করেছেন কেউ কেউ। এমন অভিযোগ করছে খোদ বিএনপির নেতারাই।

গোপন সূত্র বলছে, বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতার বিরুদ্ধে উঠেছে ভয়াবহ অভিযোগ। একটি পক্ষ বলছে, বিএনপির কিছু নেতা গুপ্তচরবৃত্তি করছে। আর এই চক্রের মূল হোতা ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান। তিনি আন্দোলনের আড়ালে সরকারের সাথে বিভিন্ন সমঝোতা করছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। এর পেছনে বেশ কিছু যৌক্তিক প্রমাণও দেখিয়েছে সূত্রটি।

অভিযোগ তোলা বিএনপির নেতারা বলছেন, দলে আমানউল্লাহ আমানের ভূমিকা রহস্য সৃষ্টি করেছে। প্রতিটা আন্দোলন বা কর্মসূচিকে তিনি পরিপূর্ণ করতে দেন না। যেকোনো ইভেন্টের আগে মুখে বুলি আওড়ে ফেনা তুলে দেন। কিন্তু ইভেন্টের দিন তিনি নেতিয়ে পড়েন। যা আসলেই রহস্যজনক।

গত ৩০ ডিসেম্বরও দেখা গেছে আমানের এমন আচরণ। ওই দিন বিএনপির গণমিছিল চলছিল, হঠাৎ তড়িঘড়ি করে সময়ের আগেই মিছিলের সমাপ্তি ঘোষণা করেন আমান। আর এতেই সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে।

শুক্রবারে বিএনপির আহ্বানকৃত ১০ দফা দাবিতে গণমিছিল নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে মগবাজার মোড়ে গিয়ে শেষ করার কথা ছিল। আর মিছিলের সমাপনী ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের। কিন্তু মিছিলের প্রথম অংশ মগবাজার পৌঁছালে তড়িঘড়ি করে সমাপ্তি ঘোষণা করেন আমানউল্লাহ আমান। আর এতেই বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

ক্ষুব্ধ বিএনপি নেতারা বলছে, আমানউল্লার বাড়ি ফেরার তাড়া থাকলে তিনি চলে যেতে পারতেন, কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু মিছিল শেষ হওয়ার আগে তিনি কেন সমাপ্তি ঘোষণা দেবেন? এটা কোন ধরনের রাজনীতি? তিনি কী সরকারকে সুবিধা নিচ্ছেন গোপনে?

এ ব্যাপারে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সাথে কথা হলে তিনি জানান, একজন ব্যক্তির ব্যস্ততা থাকতেই পারে, তিনি চাইলে চলে যেতেন। কিন্তু সময়ের আগে মিছিল সমাপ্ত করা আসলেই সন্দেহের কারণ। এতে দলে কোন্দল বাড়ে। তার বোঝা উচিত ছিল।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours