যে কারণে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেন উকিল আব্দুস সাত্তার

1 min read

নিউজ ডেস্ক: দল মেরামতের নাম না নিয়ে দেশ মেরামতের নানা রূপরেখা নিয়ে যখন আলোচনা সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে দলটির কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা ঠিক তখনই আবারও ভাঙনের মুখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। দলীয় নানা অসঙ্গতি ও কোন্দলের বলি হয়ে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেন দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকাস্থ চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে তিনি লিখিত পদত্যাপত্র জমা দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার পুত্র মাঈনুল হাসান তুষার।

মাঈনুল হাসান তুষার দাবি করেন, দলের সংকটে বাবা অনেক শ্রম দিয়েছেন, ঘাম ঝরিয়েছেন। দলকে অনেক কিছু দিলেও প্রতিদানে উনাকে মূল্যায়ন করেনি দল। সারাদেশে চলা গণকর্মসূচিতেও বাবা নানাভাবে দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন। কিন্তু এতো কিছুর পরেও তাকে মূল্যায়ন না করে তার সমপর্যায়ের, এমনকি তার থেকেও নিচের অবস্থানে থাকা একাধিক নারী নেত্রীদের দলের ফ্রন্টলাইনে রেখেছে দল। দলীয় নানা সুবিধার জন্য দূতাবাস কেন্দ্রিক রাজনীতির দিকে ঝুঁকে নিজেদেরই বিপদে ফেলছে দলটি।

তিনি আরো বলেন, গেলো ১০ ডিসেম্বরের ঢাকার সমাবেশে কেন্দ্রীয় সব নেতাদের মঞ্চে সরব উপস্থিতি দেখা গেলেও বাবাকে খন্দকার মোশাররফসহ বাকি সিনিয়র নেতারা উপেক্ষা করে গেছেন।

তবে বিএনপির এক সময়ের প্রভাবশালী এই রাজনীতিকের এমন পদত্যাগের বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, উকিল আব্দুস সাত্তার বিএনপির রাজনীতি করলেও থাকতে চেয়েছেন পরিচ্ছন্ন রাজনীতির বলয়ে। কিন্তু বর্তমানে বিএনপির যে রাজনৈতিক অবস্থান তাতে করে এখানে ইতিবাচক রাজনীতির চর্চা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। অসাধু নারী নেত্রীদের আধিপত্তের কারণেই আব্দুস সাত্তারের মতো ত্যাগী নেতাদের পদত্যাগ করতে হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনরা।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে বিএনপির টিকেটে এমপি নির্বাচিত হন। দলীয় সিদ্ধান্তে গত ১১ই ডিসেম্বর তিনি সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। ফলে এই আসনটি শুন্য ঘোষণা করেন স্পিকার। এই আসনে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচন।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours