জনগণের ওপর আঘাত আসলে রাজপথে জবাব দেবে যুবলীগ : শেখ পরশ

1 min read

জনগণের ওপর আঘাত আসলে যুবলীগ রাজপথে জবাব দিবে বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ এবং সঞ্চালনা করেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, আজ জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের স্বপ্ন দেখায়। বাঙালি জাতিকে স্বপ্ন দেখায় রাজনৈতিক দল হিসেবে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তিনি সার্থক। তিনি মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে জানেন, স্বপ্ন বাস্তবায়নও করতে পারেন। তাই তিনি আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়নের পর স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ মানে কী? স্মার্ট বাংলাদেশ মানে বাংলাদেশের প্রশাসনিক কার্যক্রমে জনগণের সম্পৃক্ততা, স্বচ্ছতা, জনগণের অংশগ্রহণ, একটা দুর্নীতিমুক্ত ন্যায়পরায়ণ সমাজ ব্যবস্থা সৃষ্টি করা।

তিনি বিরোধী দলের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা শুধু ক্ষমতায় আসার জন্য, লোভ-লালসার জন্য রাজনীতি না করে দেশের কথা ভাবলে ভালো হয়। জনগণের কথা ভাবলে একটু ভালো হয়। জনগণের রাজনীতি আপনার করেননি। সারাক্ষণ মিথ্যা আর অপপ্রচারের রাজনীতি নিয়ে পড়ে আছেন। আপনাদের এই ন্যক্কারজনক রাজনীতি বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। আপনারা একটি বিচ্ছিন্নবাদী জঙ্গি সংগঠনে পরিণত হয়েছেন। গত ১০ তারিখে আপনাদের ডাকে জনগণ সাড়া দেয় নাই। এর পরে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিলের ডাক দিয়েছেন। কিন্তু জনগণ ছাড়া আপনারা গণমিছিল কিভাবে করবেন। দেশের টাকা বিদেশে নিয়ে আরাম আয়েশে আছেন আর এদেশের তরুণ প্রজন্মকে বিপথে ঠেলে দিবেন, জঙ্গি সন্ত্রাসী বানাবেন তা হবে না। সেই দিন ভুলে যান।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের বুঝতে হবে এদেশের মানুষ কী চায়? এদেশের জনগণ চায় প্রগতি উন্নতি, শান্তি, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা। এ সকল চাহিদা বঙ্গবন্ধুকন্যা সঠিকভাবে পূরণ করেছেন বিধায় পর পর তিনবার তিনি ক্ষমতায় রয়েছেন। আগামী দিনেও তাকে জনগণ ভোট দিয়ে ৫ম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী বানাবে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার অভাবনীয় সাফল্যে আপনারা ভীত-সন্ত্রস্ত। আমাদের পদ্মাসেতু হয়ে গেল, আমাদের স্বপ্নের মেট্রোরেল হয়ে গেল, সামনেই কর্ণফুলী টানেল হয়ে যাবে। আপনাদের রাজনীতি তো শেষ। তল্পিতল্পা নিয়ে এখনই প্যাকেটে ভরে, বস্তাবন্দী করে ঘরে ফিরে যান। আপনাদের গণমিছিল গণমিছিল না, আপনাদের ট্যাকটিস বন্ধ করুন। জনগণকে আঘাত করার চেষ্টা করবেন না। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে গড়া সংগঠন। তিনি মুজিব বাহিনীর প্রধান, ষাটের দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা শেখ ফজলুল হক মণি।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যুবলীগ যতদিন মাঠে আছি আপনারা জনগণকে স্পর্শ করে দেখান, এদেশের জনগণের জানমালের উপর হাত দিয়ে দেখান, আপনাদের সেই হাত ভেঙ্গে দেব। আপনারা আপনাদের সীমার মধ্যে থেকে রাজনীতি করবেন বলে আশা রাখি।

সঞ্চালকের বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে প্রিয় নেত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে, বাংলাদেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি সুন্দর, সুশৃঙ্খল উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে, সেই সময় স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি-জামাত নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা দেশকে ধ্বংস করার জন্য, দেশের মানুষের শান্তির ঘুম হারাম করার জন্য আবারও মাঠে নেমেছে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, রফিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান পবন, নবী নেওয়াজ, এনামুল হক খান, মোয়াজ্জেম হোসেন, তাজউদ্দিন আহমেদ, জসিম মাতুব্বর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, মুহা. বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, সাইফুর রহমান সোহাগ, জহির উদ্দিন খসরু, সোহেল পারভেজ, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রফেসর ড. রেজাউল কবির, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শামছুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. ফরিদ রায়হান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মীর মো. মহিউদ্দিন, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হারিছ মিয়া শেখ সাগর, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মুক্তা আক্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-অর্থ সম্পাদক সরিফুল ইসলাম দুর্জয়, উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মিসির আলি, উপ-জনশক্তি ও কর্মসংস্থান সম্পাদক শামসুল কবির রাহাত, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক আবদুর রহমান, উপ-কৃষি ও সমবায় সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।

+ There are no comments

Add yours