শিষ্টাচার ভঙ্গ করেই চলেছেন বিদেশি রাষ্ট্রদূতগণ, বেরিয়ে এলো থলের বেড়াল

0 min read

নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নানান ইস্যু নিয়ে লাগাতার মন্তব্য করে আসছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত। যদিও তাদের প্রতি সম্মান দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেশ বিরক্ত হলেও কড়া ভাষায় কিছু্ই বলছে না। তবে রাষ্ট্রদূতদের এ ধরণের লাগামহীন আচরণ মোটেও কাম্য নয়, বলছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের এমন মন্তব্য কূটনৈতিক নীতিমালার পরিপন্থী। এর মাধ্যমে কেবল শিষ্টাচার নয় রাষ্ট্রাচারেরও লঙ্ঘন করছেন রাষ্ট্রদূতগণ।

এদিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিদেশি কূটনীতিকদের সরাসরি মন্তব্য করার পরিধি দিনদিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু এর পেছনে রহস্য কী? কেনই বা তারা হঠাৎ এমন করছেন? বাংলা নিউজ ব্যাংকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।

জানা গেছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি নেতারা নিয়মিত সাক্ষাৎ করছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে। আর তাদের বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিজেদের অধিকারের আওতা ছাড়িয়েও বিভিন্ন ইস্যু ও প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করছেন অনেক রাষ্ট্রদূতগণ।

কিছুদিন আগে নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান গঠন নিয়েও মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ। যা একেবারেই আইনের পরিপন্থী। কেননা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে যদি বিদেশিরা মন্তব্য করে তাহলে দেশে সংবিধান কেন আছে? এমন প্রশ্ন বিশিষ্টজনদের।

সূত্র বলছে, বিভিন্ন দেশকে প্রভু মানতে শুরু করেছে বিএনপি। সরকার এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে বারংবার অভিযোগের কারণে বিভিন্ন দেশও সুযোগ খুঁজছে। তারা জনগণের সরকারের বাইরে গিয়ে নিজেদের পুতুল সরকারকে বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসাতে চায়। এতে করে বাংলাদেশের গ্যাস আর সামুদ্রিক সম্পদে হাত বাড়াতে পারবে।

রাষ্ট্রদূতদের এমন আচরণকে শিষ্টাচারবহির্ভূত উল্লেখ করে বিরক্তি প্রকাশ করে আসছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিষয়টি চলমান থাকলে অন্য কোনো পথে সুরাহার হুঁশিয়ারিও দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা ঘামানো কূটনীতিকদের নীতিমালা ভিয়েনা কনভেনশনের পরিপন্থী। ভিয়েনা কনভেনশনে স্পষ্টভাবে লেখা আছে কোনো রাষ্ট্রদূত দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কথা বলবেন, কাজ করবেন। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তারা অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলছেন। যেটা পুরোপুরিভাবেই অগ্রহণযোগ্য।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours