এবার সিইসি হাবিবুল আউয়ালকে নিয়ে সমস্যা বিএনপিপন্থীদের

0 min read

নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ আগ্রহীদের কাছ থেকে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম আহ্বান করেছিল রাষ্ট্রপতির গঠিত সার্চ কমিটি। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ ভিন্ন মতের বিশিষ্টজনরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করেন। যে সুপারিশের ভিত্তিতে সিইসি হিসেবে নিয়োগ পান হাবিবুল আউয়াল।

তবে বিএনপি সমর্থিত বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়ালকে নিয়ে নতুন করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে কুচক্রী মহল।

তারা বলছেন, যদিও বিএনপিপন্থীসহ বিশিষ্টজনদের সুপারিশে তৈরি করা হয়েছে তবুও তারা বলছেন প্রক্রিয়া নাকি সঠিক হয়নি।

এ প্রসঙ্গে ইতোমধ্যে বিএনপি সমর্থিত বুদ্ধিজীবী আসিফ নজরুল নতুন নির্বাচন কমিশনার সমর্থিত মতাদর্শের মানুষদের পাগলা গারদে ভর্তি হবার কথা বলেছেন।

যদিও তার কথাকে অযৌক্তিক বলে আখ্যায়িত করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক এ আরাফাত বলেন, বিএনপিকে এ মুহূর্তে কোলে তুলে ক্ষমতায় বসানো উচিত। হয়তো এরপরও তারা সরকারের সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে পারে। যেখানে ভিন্ন মতকে প্রাধান্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলো, সেখানে এমন বিরোধিতা নিতান্তই অযৌক্তিক। এতে স্পষ্ট চিত্তে প্রমাণ হলো, বিএনপি কখনো যৌক্তিক বিরোধিতা করে না। বিরোধিতা করতে হবে, তাই করে। জনগণের সমর্থন না থাকলেও তারা জোর করে ক্ষমতায় আসতে চান। যারাই তাদের কথার বিরোধিতা করেন, তাদের পাগলা গারদে ভর্তি হতে বলেন। অথচ যিনি এমন কথা বলেছেন, তরুণ বয়সে তিনি কতশত মেয়েদের সঙ্গে পাগলামি করেছেন, তা হাতেগুণে শেষ করা যাবে না। অতএব জনগণের মতের বিরুদ্ধে কথা বলার আগে সকলের উচিত আয়নাতে নিজের মুখটি একবার দেখা।

এ আরাফাত আরো বলেন, বিএনপিতো সব বিষয়ের বিরোধিতা করে। বর্তমানে ষাটোর্ধ্ব সব নাগরিকের জন্য অবসরকালীন সুবিধা বা পেনশন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অথচ এমন মহৎ উদ্যোগেরও বিরোধিতা করেছে বিএনপি। এর আগে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করে আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো সরকার। সে সময়ও বিএনপি এর বিরোধিতা করে, সরকারি উদ্যোগকে ‘ধাপ্পাবাজি’ উল্লেখ করেছিলো বিএনপি।

বিষয়গুলো প্রমাণ করে, প্রয়োজনে নয়, অভ্যাসের কারণে সমালোচনা করে বিএনপি। বিএনপির উচিত হবে, অকারণে সমালোচনা না করে, অন্তত জাতীয় ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করা। যাতে মনে হয়, তারা দেশের মানুষের ভালো চাচ্ছেন। নতুবা এমন সমালোচনার ভাণ্ডারকে দেশের মানুষ আর কখনো গ্রহণ করবে বলে মনে হচ্ছে না।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours