নিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলার আবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ৩ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আহমেদের আদালত ওই মামলাটি গ্রহণ করে শুনানি শেষে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার একটি সুখী, সমৃদ্ধশালী এবং বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে পরিশ্রম করছে। উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করতে সক্ষম হলেও বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে কুচক্রী মহল এই অর্জনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। বিএনপি-জামায়াত অনেক বছর ধরে একের পর চক্রান্ত করেই চলেছে। রাজপথের রাজনীতি ছেড়ে তারা অপপ্রচারের রাজনীতি করছে। সরকারের অর্জন ও ভালো কাজে তাদের গা জ্বলে, হিংসা হয়।
তারা বলছেন, বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশ বিরোধী আন্তর্জাতিক চক্রের প্ররোচনায় পড়ে মিথ্যাচার করছে। তারা অপপ্রচার চালিয়ে সরকার ও দেশকে বিব্রত করার চেষ্টা করছে। দেশের উন্নয়নে অংশীদার না হয়ে দেশ ও সরকারের অর্জনকে বিতর্কিত ও ম্লান করার জন্য ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। যেকোনো সূচকে পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছে দেশ। কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতের চেয়েও এগিয়ে রয়েছে। এমন অভাবনীয় উন্নয়নে সারাবিশ্ব বাংলাদেশের প্রশংসা করছে। অর্থনীতিবিদরা দেশের উন্নয়নকে অবাক চোখে দেখছেন। তবে এই উন্নয়ন শুধু বিএনপি নেতাদের চোখে পড়ে না। তারা শুধু সরকারের সমালোচনায় ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে দেশের এগিয়ে যাওয়া দেখে গা জ্বালা করছে বিএনপির। তারা সরকারের উন্নয়ন ও অর্জন সহ্য করতে পারছে না। তাই তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের রাজনীতি থেকে বের হয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করা উচিত বিএনপির। রাজনীতির লক্ষ্য শুধু ক্ষমতায় বসা নয়। তবে বিএনপি ক্ষমতার রাজনীতি ছাড়া কিছুই বোঝে না। বিএনপি কোনদিনই জনগণের কথা ভাবেনি। ভাবলে তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশবিরোধী অপপ্রচার চালাতে পারতো না।
+ There are no comments
Add yours