আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার জামিন চাইলেও বেখেয়ালি বিএনপি নেতারা

1 min read

নিউজ ডেস্ক : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কাভার্ড ভ্যান পোড়ানোর অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা নাশকতার মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।

রবিবার (২০ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি দাখিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। পরে তিনি বাংলা নিউজ ব্যাংককে বলেন, ‘কুমিল্লার নাশকতার এক মামলায় স্থানীয় বিচারিক আদালত জামিন আবেদনের শুনানি দীর্ঘায়িত করছেন। তাই এ পর্যায়ে আমরা জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানাই। সময় মত আমরা বেগম জিয়ার চলমান সব মামলার বিরুদ্ধে জামিনের আবেদন করবো।

এদিকে খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করলেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। এতে ক্ষিপ্ত হয়েছেন দলটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির নেতারা।

জানা গেছে, দলগতভাবে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হওয়ায় পুনরায় বেগম জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর বিশেষ কোন আগ্রহ দেখাচ্ছে না বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এর আগে বেগম জিয়ার মুক্তি আদায়ের সকল প্রচেষ্টা বিফলে যায় বিএনপি নেতাদের। যার কারণে দলীয় নেত্রীর জামিন বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে আগ্রহী নন মির্জা ফখরুলরা। তারা বিষয়টিকে ছেড়ে দিয়েছেন পরিবার ও আইনজীবীদের উপর। তারা মনে করছেন, রাজনৈতিকভাবে বেগম জিয়ার জামিন চেয়ে ব্যর্থ হলে পুনরায় ইমেজ সংকটে পড়বে বিএনপি। যার কারণে তারা বেগম জিয়ার ভাগ্য ছেড়ে দিয়েছেন পরিবার ও আইনজীবীদের হাতে।

এদিকে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির একাধিক সদস্য জানান, বেগম জিয়ার জামিন প্রসঙ্গে হাইকমান্ডের নির্লিপ্ততা নিয়ে হতাশ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। দলীয় রাজনীতি করতে গিয়ে জেল-জরিমানার শিকার হয়েছেন বেগম জিয়া। সুতরাং তার মুক্তি বা জামিন আদায়ে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের প্রথম সারিতে থাকা দরকার। কিন্তু বেগম জিয়ার জামিনের বিষয়টিকে পরিবার ও আইনজীবীদের চাপিয়ে দিয়ে দায় সারতে গিয়ে চরম ভুল করছেন মির্জা ফখরুলরা। দলীয় প্রধানের জামিন নিয়ে লুকোচুরি খেলার চেষ্টা করছে বিএনপির হাইকমান্ড। দায় এড়ানোর এমন প্রবণতার কারণে বেগম জিয়াকে দুই বছরের অধিক জেল খাটতে হয়েছে। বেগম জিয়ার জামিন বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে দল, পরিবার ও আইনজীবীদের সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে হবে। কারণ দায় চাপানো ও দায়িত্ব অবহেলা করলে বেগম জিয়ার পরিণতি আরো করুণ হতে পারে।

+ There are no comments

Add yours