এলোমেলো বিএনপি ভ্রান্ত পথে হাটছে

1 min read

দীর্ঘ সময় ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির বর্তমানে সাংগঠনিক কোনো কার্যক্রম নেই বললেই চলে। নেই দল গুছিয়ে সংগঠনকে চাঙ্গা করার কোনো উদ্যোগ। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে দলটি। বিএনপির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোরও বেহাল অবস্থা। করোনাভাইরাসের দোহাই দিয়ে নামকাওয়াস্তে ভার্চুয়াল কিছু কর্মকাণ্ডেই সীমাবদ্ধ রয়েছে দলটি। এক কথায় এলোমেলো দলে পরিণত হয়েছে বিএনপি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আগামী দুই বছর পরই ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে অংশ নিতে হলে বিএনপিকে বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে হবে। দলের সামনে এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে এ ইস্যুতে বিএনপির কার্যত কোনো কর্মকাণ্ডই নেই।

এছাড়া এক যুগের বেশি সময় ধরে লন্ডনে পলাতক রয়েছেন তারেক রহমান। অন্যদিকে দুটি দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সরকারের নির্বাহী আদেশে কারামুক্ত হলেও সাড়ে তিন বছর ধরে রাজনীতি থেকে দূরে আছেন। শারীরিকভাবেও তিনি অসুস্থ। ফলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বেই এখন চলছে বিএনপি।

তারা আরো বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বেই বিএনপি এখনো ঐক্যবদ্ধ আছে বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে এ নিয়ে দলের মধ্যে রয়েছে অসন্তোষ। এছাড়া বিএনপির মহাসচিবের কর্মকাণ্ড নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন খোদ দলের নেতারা। ফলে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এখন হতাশায় ভুগছেন। তারা জানেন না কোন পথে চলছে বিএনপি, এ দলের ভবিষ্যৎ রূপরেখা কী?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে প্রতি শনিবার স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে আলোচনা হলেও সিদ্ধান্ত হয় না। আর কিছু সিদ্ধান্ত হলেও তার বাস্তবায়ন হয় না। উল্টো সিনিয়র নেতাদের মধ্যে চলে কাদা ছোড়াছুড়ি। এ নিয়ে দলের ভেতরে ও বাইরে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিএনপির আন্দোলন রাজপথে গড়াবে। আগামী নির্বাচন নিয়ে দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামে আলোচনা হয়েছে। কখন কী করতে হবে, তা দল করবে। সময় হলেই সব স্পষ্ট হবে।

+ There are no comments

Add yours