দল ছাড়ছেন জামায়াত নেতারা

1 min read

যুদ্ধাপরাধসহ নানা দায়ে অভিযুক্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা তাদের খোলস পাল্টাতে শুরু করেছেন। একের পর এক দলত্যাগ করছেন তারা। এ পরিস্থিতিতে নতুন করে অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়েছে দলটি।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, জামায়াতের নীতি-আদর্শের নামে যারা ভণ্ডামির রাজনীতি করছে, তাদের বয়কট করে একটি প্রভাবশালী অংশ নতুন রাজনৈতিক দলগুলোতে যোগ দিচ্ছেন।

সূত্র বলছে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা অধ্যাপক মফিজুর রহমান এক মাহফিলে জামায়াতকে রাজাকারের দল আখ্যায়িত করে নতুন দলে যোগদান করেন। কক্সবাজারের হোটেল কোস্টাল পিস মিলনায়তনে নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগ ‘জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ’ এর কর্মশালায় যোগ দেন তিনি।

এ সময় অধ্যাপক মফিজুর রহমান জামায়াত থেকে পদত্যাগ করে জন আকাঙ্ক্ষায় যোগ দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন।

তিনি বলেন, ধর্ম ও মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবসার পণ্য বানিয়েছে জামায়াত। এটা খুবই দুঃখজনক যে, ধর্মকে নিয়ে তারা ব্যবসা করছে। এ দল মৃত্যুর পরের জীবনের কথা বলে দলের সাধারণ কর্মীদের থেকে বাইতুল মালের যে অর্থ সংগ্রহ করে, তা ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছুই নয়।

সাবেক এ জামায়াত নেতা আরো বলেন, জামায়াতের যে আদর্শ রয়েছে, তা মওদুদী মতবাদ অনুসারে মানা হয়। মূলত মওদুদীবাদকেই জাহির করাই ছিল দলের মূল টার্গেট। যে ব্যক্তি নিজেই হাদিস নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন, তাকে ইসলামের আদর্শিক নেতা হিসেবে জাহির করার চেষ্টা করে জামায়াত। সব জেনে-বুঝে কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মুসলমান জামায়াতের মতো দলে থাকতে পারে না। আমি জামায়াতের ভণ্ডামি যেদিন বুঝতে পেরেছি, সেদিনই দল ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে অপরাজনীতি চালু করেছিল জামায়াতে ইসলামী। এ দলে গণতন্ত্র বলতে কিছুই নেই। তরুণদের চিন্তা ও চরিত্র ধ্বংস করতে জামায়াত অনেকাংশে দায়ী।

তিনি আরো বলেন, বিশেষ করে দেশে জঙ্গিবাদের বিস্তার করে চলেছে জামায়াত। তাদের ধর্ম ব্যবসা বর্তমান প্রজন্ম ধরে ফেলেছে বলেই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দলটি।

+ There are no comments

Add yours