‘আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে’

1 min read

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেছেন, তারা (বিএনপি) নাকি সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাস্তায় নামবে। তারা রাস্তায় নামুক, আমাদের কোনো আপত্তি নেই। রাস্তায় নেমে কথা বলুক তাতেও আপত্তি নেই। কিন্তু রাস্তায় নামার নামে যদি মানুষের গায়ে আগুন দেওয়া হয়, গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ধ্বংস করার অপচেষ্টা করা হয়। তাহলে দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। ওদের (বিএনপি) ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হবে না। ঘরেই থাকতে হবে।

সোমবার রাজধানীর কাপ্তানবাজারে ঢাকাস্থ কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক ব্যবসায়ি সমিতির আয়োজনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকাস্থ কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক ব্যবসায়িক সমিতির সভাপতি ইয়াছির ইলিয়াস রাসেলের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আহমেদ ইমতিয়াজ মন্নাফী, কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতির নেতা মোতাহার হোসেন ওয়াফী প্রমুখ।

স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তিতে হেফাজত ইসলামের আগুন-সন্ত্রাসের তাণ্ডবের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ান্তি উপলক্ষে ৫০ টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন দিলেন, শুভেচ্ছা দিলেন। অনেকেই সরাসরি এসেছেন। যারা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিলেন। স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ান্তিতে সেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নে উজ্জল দৃষ্টান্ত। সেই স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ান্তিতে মির্জা ফখরুলরা ঢাকা সহ সারাদেশে মামুনুল হকদের দিয়ে তাণ্ডব চালালেন। তারা বিশ্বের কাছে প্রমাণ করতে চাইলেন- এই সরকারকে কেউ মানে না। এখন তালেবান ক্ষমতায় আসেছে- আর মির্জা ফখরুলরা খুশি হয়ে বিবৃতি দিচ্ছেন, তাদের বুদ্ধিজীবীরা বিভিন্ন কথা বলছেন। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কেউ যদি ষড়যন্ত্র করে- তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সকল বাঙালিরা ঐক্যবদ্ধ।

এসএম কামাল হোসেন বলেন, পদ্মাসেতুতে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হলো। খালেদা জিয়া বললেন- জোড়া তালি দিয়ে পদ্মা সেতু করা হচ্ছে – কেউ হাঁটতে পারবে না। গুজব ছড়ালো পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগবে, রক্ত লাগবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সততা ও শাহসীকতার সঙ্গে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করলেন। ওই সব গুজব ও ষড়যন্ত্রকে বৃদ্ধা আঙ্গুলি দেখিয়ে পদ্মাসেতু আজ দৃশ্যমান হয়েছে।

বৈশ্বিক মহামারি মোকাবিলা ও দেশের মানুষের ভ্যাকসিন নিশ্চিত করায় প্রধানমন্ত্রীয় শেখ হাসিনার প্রসংশা করে তিনি আরও বলেন- যখন করোনা শুরু হলো ষড়যন্ত্রকারী গুজব ছড়ালেন- হাজার হাজার মানুষ না খেয়ে মারা যাবে। মির্জা ফখরুলরা বললেন- ভ্যাকসিন নিলে মানুষ মারা যাবে। কিন্তু আল্লাহর রহমতে এবং শেখ হাসিনার সঠিক সিদ্ধান্তের কারণে করোনায় একটি মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। দেশের প্রতিটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। তারাও (বিএনপির নেতারা) গোপনে ভ্যাকসিন নিচ্ছে। বিএনপি অপপ্রচার ও মিথ্যাচার ছাড়া কিছু পারে না।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে স্বাধীনতা স্বপক্ষের শত শত সোনাবাহিনীর অফিসাদের হত্যা করেছে। বিমান বাহিনীর ৫৫১ জন অফিসারকে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, গুম, খুন ও নির্যাতন করেছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির একজন আবাসিক নেতা আছে। মিথ্যা ও অপপ্রচারের বাক্সও আছে। আর এই অপপ্রচারের বাক্সের এমডি তারেক জিয়া এবং সিও হচ্ছে আবাসিক নেতা রিজভী। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে পল্টনের অফিসে বসে এই আবাসিক নেতা বলেন- সকালে উঠে আমি মনে মনে বলি- সারাদিন আমি যেন মিথ্যা কথা বলি। মিথ্যা অপপ্রচার করি। এটাই তাদের চরিত্র।

+ There are no comments

Add yours