বিএনপির কোন্দল কমছেই না!

1 min read

ডেস্ক রিপোর্ট: দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর থেকেই দল সামলাচ্ছেন তারেক রহমান। কিন্তু তারেক দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামী। সাজা মাথায় নিয়ে বিদেশে পালিয়ে আছেন। ফলে দূর থেকে যেসব নির্দেশ দেন তার বেশিরভাগই কেউ মানে না। আবার খালেদা জিয়ার অনুসারীরা তারেককে পাত্তা দেন না। ফলে বিএনপিতে বিভিন্ন গ্রুপ-উপগ্রুপ্রের ছড়াছড়ি। সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা তো পরের কথা, দলের কোন্দল থামাতেই হিমশিম খাচ্ছে বিএনপি।

সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার অবর্তমানে দলে একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন তারেক রহমান। কিন্তু সিনিয়র অনেক নেতা তারেককে অপরিপক্ব এবং অযোগ্য ভাবেন। এই নেতারা তারেকের নির্দেশ মানেন না। আবার অনেক সিনিয়র নেতার মধ্যে বিএনপির চেয়ারম্যান হওয়ার স্বপ্ন আছে। তারা নিজেদের অনুসারী নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতেও এসব প্রকাশ্যে ঘটছে। কিন্তু এসব ঘটনা কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না তারেক রহমান।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দলের মধ্যে কিছু নেতা আছেন যারা নিজ নিজ অনুসারী নিয়ে চলেন। এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের ওপর কর্তৃত্ব করতে চায়। এতে দলের ক্ষতি হচ্ছে। আমরা সবাই বিএনপি করি। এখন বিরোধী দলে আছি, এসময়ে আমাদের একতাবদ্ধ থাকা জরুরী। অথচ এই সময়ে কোন্দল বাড়ছে, বিষয়টি হতাশাজনক। তারেক রহমান দেশে না আসলে এই অবস্থার অবসান হওয়া কঠিন। কিন্তু তিনিও জেলের ভয়ে দেশে আসছেন না। ফলে কোন্দল কবে দূর হবে বলতে পারছি না।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তিনি নিজেদের অনুসারীদের নিয়ে চলেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জিয়ার সৈনিক। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করে যাচ্ছি। অথচ এসি রুমে বসে মিডিয়ায় যারা কথা বলেন তারাই আজ দলের নেতৃত্বে বসে আছেন। তাদের মত তো আমি বসে থাকতে পারি না। আমি নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের নিয়ে রাজপথে সরব আছি। কে কী বললো কিছুই যায় আসে না।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির নেতৃত্বহীনতার কারণেই এই দশা। তারেক রহমান বিএনপির নামমাত্র প্রধান। তিনি দেশের বাইরে থাকায় কেউ তার কথা শোনে না। ফলে যে যার মত প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় নিয়োজিত। একটা দল ঠিকভাবে চলতে হলে দৃশ্যমান নেতা লাগে। তারেক রহমানের মত বিদেশপলাতক নেতা দিয়ে বিএনপির মত বড় দল চলা অসম্ভব। এখন যে অবস্থা চলছে তাতে বিএনপির এক দুই বছরের মধ্যেই ভেঙ্গে কয়েক টুকরা হয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours