নেতৃত্বে দুর্বলতা: দলীয় কর্মসূচিতে আগ্রহ নেই বিএনপির তৃণমূলের

1 min read

সভা-সমাবেশ-মিছিল কিংবা বিক্ষোভ দলের পক্ষ থেকে যাই-ই ডাকা হোক না কেন, তাতে বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই বিএনপির তৃণমূলের। এমনকি কেউ কেউ এলেও সেলফি তোলা আর খোশগল্প করেই পার করে দেন সময়। এ নিয়ে একাধিকবার দলের পক্ষ থেকে শোকজ করা হলেও অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। চিত্র সেই একই। বিষয়টি গভীরভাবে ভাবাচ্ছে তারেককে। হাইকমান্ডকে ইতোমধ্যে নির্দেশ দিয়েছেন, অচিরেই যেন এই সমস্যা কাটে। নেতাকর্মীদের মাঝে না থাকে ‘থোড়াই কেয়ার’ ভাব।

দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দেশে আন্দোলনের নামে সহিংসতা চালিয়ে আসছে বিএনপি। ফেলছে একের পর এক লাশ। কিন্তু সরকারকে বেকায়দায় ফেলার কোনো সূত্রই তাদের কাজে লাগেনি। উপরন্তু বেরিয়ে এসেছে সহিংসতার সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ। ফলে বেশ বেকায়দায় আছেন জড়িতরা। হয়েছে মামলাও। অথচ তাদের পক্ষে দলের আইনি লড়াইয়ের নেই কোনো পদক্ষেপ। এতে ভীষণ ক্ষুব্ধ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিকজন বলেন, লড়াই-সংগ্রাম করলাম দলের কথায়। কিন্তু কি আশ্চর্য ব্যাপার, মামলা হওয়ার পরে আমাদের খোঁজ পর্যন্ত নেয়নি কেউ। বেঁচে আছি না মরে গেছি তাও জানতে চায়নি। এটা কী নেতৃত্বের নমুনা? তারেক রহমান কিংবা বিএনপির হাইকমান্ড কি চাইলেই পারতো না, আমাদের পাশে থাকতে? কিন্তু তারা কী সেটা করেছে? করেনি। এ থেকেই প্রমাণ হয়, বিএনপি কিভাবে চলছে।

তৃণমূল নেতাকর্মীদের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই প্রতিবেদক যোগাযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে। তিনি বলেন, দেখুন নেতৃত্বের দুর্বলতা সব রাজনৈতিক দলেই কম-বেশি আছে। আমাদেরও যে একেবারে নেই, এটাও অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে যে যে জায়গাগুলোতে সমস্যা, সেটা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে অচিরেই কেটে যাবে। ইতোমধ্যে এ নিয়ে আমাদের কয়েক দফা বৈঠকও হয়েছে। আশাকরি, দ্রুতই সুখবর মিলবে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও আর অভিমান করে থাকবে না, নেতৃত্বের দুর্বলতার অভিযোগ তুলবে না দলীয় হাইকমান্ডের প্রতি। সবাই মিলেমিশে, কাঁধে কাঁধ রেখে এগিয়ে যাবো সামনে।

বিষয়টি নিয়ে এই প্রতিবেদকের আরও কথা হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, ম্যাডাম অসুস্থ। তারেক রহমান লন্ডনে। তাই নেতৃত্বে একটা গ্যাপ অটোমেটিক সৃষ্টি হয়ে গেছে। তবে এটা থাকবে না। এখান থেকে বের হওয়ার আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি।

রাজনৈতিক বিজ্ঞজনরা বলছেন, রাখাল ভালো না হলে গরু-ছাগল যেমন দলছুট হয়ে যায়, তেমনি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ঠিক না থাকলে সে দলের অস্তিত্ব দিনে দিনে বিলীন হতে থাকে। বিএনপি যার অদ্বিতীয় উদাহরণ। আর এর দায় তারেক রহমান কোনো ভাবেই এড়াতে পারেন না।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours