অনলাইন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শহর-গ্রামের বৈষম্য দূর হবে: পলক

0 min read

নিউজ ডেস্ক: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, করোনা পরবর্তীকালের পৃথিবীতে আইটি ফ্রিল্যান্সারদের প্রয়োজনীয়তা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। করোনার কারণে আমাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হাওয়ায় অনলাইন ক্লাসই আমাদের ভবিষ্যৎ। করোনা অনলাইন শিক্ষায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। তিনি বলেন, ‘বিরাজমান অবস্থায় অনলাইনের প্রশিক্ষণ শহর ও গ্রামের বৈষম্য দূর করবে।’

প্রতিমন্ত্রী সম্প্রতি জুম প্ল্যাটফর্মে আইসিটি বিভাগের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের অনলাইন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পলক বলেন, ‘দেশের ৭০ ভাগ তরুণের আত্মকর্মস্থান নিশ্চিত করতে অনলাইনে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করলো আইসিটি বিভাগের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্প।’

তিনি জানান, দেশজুড়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে উচ্চগতির ইন্টারনেট ও পেমেন্ট গেটওয়ে অবকাঠামো তৈরির ফলে এখন ঘরে বসেই দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির মতো ফ্রিল্যান্সার প্রশিক্ষণের কার্যক্রম অনলাইনে শুরু করা সম্ভব হয়েছে। প্রযুক্তি জ্ঞানকে উন্মুক্ত করেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পের অধীনে এসএসসি ও এইচএসসি পাসের পর তরুণদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে, তাদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতেই এই উদ্যোগ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকালেও চালু রাখা গেছে।’

প্রসঙ্গত, অনলাইনে প্রশিক্ষণ নিতে এক লাখ ৮৫ হাজার শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেন। তবে কম্পিউটার ও উচ্চগতির নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে— এমন ১৫টি ভাগে ভাগ করে দেশের ৪৯২টি লোকেশনে ৪০ হাজার প্রশিক্ষণার্থীকে পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এজন্য ৩৯টি আইটি ট্রেনিং প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ১৫টি জেলায় ওয়েব, গ্রাফিকস ও ডিজিটাল মার্কেটিং— এই তিনটি কোর্সের ওপর ২০০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনলাইনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আখতার মামুন ছাড়াও প্রশিক্ষণ উপকরণ পরিকল্পনাকারী শফিউল আলম বক্তব্য রাখেন।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours