নিউজ ডেস্ক: মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির জোট গঠনের বিষয়টি তদন্তে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির প্রতিবেদন ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর কমিটি গঠনে নির্দেশ দেন আদালত। এরপর ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি কমিটি গঠন করা হয়। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় (কর্মসংস্থান অনুবিভাগ) এর অতিরিক্ত সচিব/যুগ্ম সচিবকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি করা হয়। এতে দুদকের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজনকে রাখা হয়। কিন্তু কমিটি নিজেদের প্রতিনিধির নাম প্রত্যাহার চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক। যেটি বুধবার খারিজ হয়ে যায়।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আখতার ইমাম। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।
ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের আদেশে সিন্ডিকেটের অনিয়ম তদন্তে গত ফেব্রুয়ারি মাসে কমিটি গঠন করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। ওই কমিটিতে দুদকেরও একজন প্রতিনিধি রাখা হয়েছে।
দুদক কমিটি থেকে তাদের প্রতিনিধির নাম প্রত্যাহার করতে আদালতে আবেদন করেছিল। কিন্তু আদালত তাদের আবেদনে সাড়া দেননি। আদালত দুদকের প্রতিনিধিসহ ৯ সদস্যর কমিটিকে সিন্ডিকেটের বিষয়ে তদন্ত করে ১৮ জুলাই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।
মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি উপেক্ষা করে ১০টি এজেন্সির মাধ্যমে লোক নেয়ার ঘটনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বঞ্চিত অপর ১০টি এজেন্সি হাইকোর্টে রিট করেছিল।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে জি টু জি প্লাস চুক্তির নিয়ম অনুযায়ী, কর্মী নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়া হয় অনলাইনে। এ কাজের জন্য সিনারফ্ল্যাক্স নামে একটি কোম্পানিকে নিয়োগ দেয় দেশটির সরকার। মালয়েশিয়ান কোম্পানি সিনারফ্ল্যাক্সের সঙ্গে বর্তমানে কর্মী পাঠানো ১০টি এজেন্সি জোট করে।
+ There are no comments
Add yours