পরোয়ানা থাকলে অবশ্যই গ্রেফতার হবেন ডিআইজি মিজান: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

1 min read

নিউজ ডেস্ক: সুনির্দিষ্ট গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলে ডিআইজি মিজানুর রহমান অবশ্যই গ্রেফতার হবেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বলেন, তিনি চাইলে আত্মসমর্পণ করতে পারেন। বুধবার দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে এক সভা হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এই সভার আয়োজন করে।

ডিআইজি মিজান আত্মগোপনে বিদেশে চলে যেতে পারেন কি না− এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তিনি বলেন, ডিআইজি মিজান যদি আত্মসমর্পণ করতে চান, তাহলে তিনি করতে পারবেন। তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

ডিআইজি মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে সোমবার ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন)।

মাদক ব্যবসা ছাড়তে হবে

মাদক নির্মূল করতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকের ডিমান্ড, সাপ্লাই রোধ করে এবং মাদকসেবীদের পুনর্বাসনের বিষয়ে সমানতালে কাজ করছি। মাদকের ডিমান্ড হ্রাসের ক্ষেত্রে আন্দোলন সৃষ্টি করার দিকে জোর দিচ্ছি। এ আন্দোলনে সর্বস্তরের জনগণকে যুক্ত করে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

তিনি জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর গত বছর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ হাজার ৮৯৮টি সভা আয়োজন করেছে। ২৮ হাজারেরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী কমিটি গঠন করা হয়েছে। মাদকের সাপ্লাই হ্রাস করতে বর্ডার এলকায় বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে শক্তিশালী করা হয়েছে। এছাড়া আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে।

মাদকের চোরাচালান যে কোনো মূল্যে বন্ধ করা হবে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা মাদকের চোরাকারবার করে আসছে, তাদের আর এ কাজ করতে দেয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক কারবারিরা আত্মসমর্পণ করছে। যদি তারা স্বেচ্ছায় মাদক ব্যবসা না ছাড়ে, তাহলে তাদের ভবিষ্যত কী হবে, সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন।

মাদকসেবীদের পুনর্বাসনের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে আসন বাড়ানো হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালেও মাদকাসক্তদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, ডা. অরূপ রতন চৌধুরী প্রমুখ।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours