নিউজ ডেস্ক : উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৮০ জন নেতাকে বহিষ্কারের পরেও দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রার্থী হয়েছেন। দলের নির্দেশ অমান্যকারী এসব নেতার তালিকা করছে দলটি। জানা গেছে, বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের অন্তত ৩৩ জন নেতা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন ২৮ জন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপে ৩৩ জন নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। একইভাবে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীর সংখ্যাও অনেক।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচন বর্জনে কঠোর নির্দেশ সত্ত্বেও যারা দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, তাদের ব্যাপারে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব খুবই বিরক্ত। কারণ, প্রথম ধাপের নির্বাচনে যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীন ছিল দলটি। এ কারণে প্রথম ধাপের প্রার্থীদের ব্যাপারে দল কিছুটা সময় নিয়েছে, সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় তাদের বুঝিয়ে নির্বাচন থেকে ফেরানোর চেষ্টা করেছে। শেষ পর্যন্ত একযোগে ৭৩ জনসহ দলীয় নির্দেশ অমান্য করে প্রার্থী হওয়া ৮০ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন দেবীগঞ্জ উপজেলার আহ্বায়ক রহিমুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচন করছি। উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় সদ্য বহিষ্কৃত এক বিএনপি নেতা বলেন, নির্বাচন প্রতিরোধের ডাক দিয়ে নেতারা ঘুমিয়ে ছিলেন, তারা নির্বাচন প্রতিরোধ করতে পারেননি। জেল, জুলুম, মামলা, হামলা সব হচ্ছে আমাদের বিরুদ্ধে। এখন যদি আমরা নির্বাচনও না করি, তাহলে এলাকায় আমাদের কোন অস্তিত্ব থাকবে না।’
হাইকমান্ডের কথা শুনে বারবার একই ভুল করতে চায় না বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তাই হাইকমান্ড বাধা দিলেও নির্বাচনের বিকল্প কিছু চিন্তা করছে না তারা।
+ There are no comments
Add yours