পুরনো বন্ধু দাউদ ইব্রাহীমের সঙ্গে তারেক রহমানের জাল টাকার ব্যবসা

1 min read

নিউজ ডেস্ক : তারেক রহমানের পুরনো বন্ধু দাউদ ইব্রাহিম। বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে একাধিকবার ভারত এবং দুবাইয়ে দাউদ ইব্রাহীমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন খালেদা পুত্র তারেক রহমান। যা নিয়ে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট সংবাদ প্রকাশ করে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে। সংবাদটির শিরোনাম ছিলো- ‘বাংলাদেশি সেকেন্ড ম্যান মিট উইথ দাউদ ইব্রাহিম।’

সেই খবরে বলা হয়েছে, ‘১১ জুলাই দুবাইয়ের এক পাঁচতারা হোটেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে দাউদ ইব্রাহীমের বৈঠক হয়। বৈঠকের স্থায়িত্ব ছিলো ৪৫ মিনিট। বৈঠকে দাউদ ইব্রাহীমের দুজন সহযোগী ছিলেন, তারেকের সঙ্গে ছিলেন তার ব্যবসায়িক পার্টনার। এর আগেও দুইজনের মধ্যে একাধিকার বৈঠক হয়েছে দুবাইয়ে। দাউদ ইব্রাহীম ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা, নাশকতা এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদদ দেওয়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ আছে। ইন্টারপোল তার বিরুদ্ধে রেড ওয়ারেন্ট জারি করেছে।’

দাউদের সঙ্গে তারেকের একাধিকবার সাক্ষাতের তথ্য প্রমাণসহ সংবাদ প্রকাশ করায় পরদিন তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপন জারি করে ইন্ডিয়া টুডের ৪ আগস্ট সংখ্যার প্রকাশনা বাংলাদেশে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করে এবং এর কোনো পুন:মুদ্রণ, অনুবাদ, বিলি বণ্টন শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে ঘোষণা দেন।

দীর্ঘদিন লন্ডনে পলাতক তারেক রহমান এখন তার পুরনো বন্ধুর সঙ্গে নতুন ব্যবসায় মনোনিবেশ করেছেন। কুখ্যাত আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালে জাল টাকার বাণিজ্য শুরু করেছেন বিএনপির এই পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। লন্ডনে তারেক রহমানের বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখে এমন একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের বরাতে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে।

জাল টাকার বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’য়ের সঙ্গে আঁতাত গড়ে তুলেছে দাউদ-তারেকের নতুন কোম্পানি। জাল নোটের পাশাপাশি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও নেপালে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোর কাছে অস্ত্র বিক্রি শুরু করেছে তাদের এই কোম্পানি। জানা গেছে, এ ব্যবসার প্রফিটের ৪০ শতাংশ জমা হওয়ার কথা রয়েছে বিভিন্ন দেশে তারেক রহমানের অফসোর কোম্পানিগুলোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours