বাংলাদেশকে পিছিয়ে নিতে অনেকেই চেষ্টা করছেন: সালমান এফ রহমান

1 min read

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, ‘এ দেশকে পিছিয়ে নিতে অনেকেই চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র কোনো দিনও বাস্তবে পূরণ হবে না। এ দেশ বঙ্গবন্ধুর দেশ, এ দেশ বাঙালিদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশ।’

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সালমান এফ রহমান বলেন, ‘১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যার পর দেশবিরোধীরা ভেবেছিল বাংলাদেশ নামক দেশের মৃত্যু হবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরেও রাজাকাররা দেশের কিছুই করতে পারেনি। কারণ দেশের হাল ধরেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা। তারই নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। এককথায় শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার প্রতিচ্ছবি হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমি যখন নির্বাচনে আসি দোহার-নবাবগঞ্জবাসীকে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আজ সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পথে। আগামী ৫ বছরে এই দুই উপজেলায় যেসব উন্নয়ন হবে, আশা করি আগামীতে এখানে উন্নয়নের আর কোনো চাহিদা থাকবে না। এই দুই উপজেলা হবে বাংলাদেশের স্মার্ট উপজেলা।’

দিনের শুরুতেই সালমান এফ রহমান উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে নবাবগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লেতে অংশ নেন।

পরে দোহার উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন সালমান এফ রহমান। সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনাদের বীরত্বের কারণেই আজ আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। কিন্তু কিছু বিপথগামী লোক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে তারা ভেবেছিল দেশ পিছিয়ে যাবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর টানা ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেছেন। তিনি শুধু তার বাবার স্বপ্নের সোনার বাংলা নয়, স্মার্ট সোনার বাংলা গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন।’

দোহার-নবাবগঞ্জকে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলা হবে জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘দোহার-নবাবগঞ্জ আজ পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা পেয়েছে। দুই উপজেলার বাসিন্দাদের জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে পাইলট প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হবে। একই সঙ্গে তরুণ-তরুণীরা যাতে স্মার্ট সোনার বাংলা বিনির্মাণে অংশ নিতে পারে তাদেরকে সেভাবেই গড়ে তোলা হবে।’

 

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours