নানা আয়োজনে ৫৪ তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা করেন সিসিক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। পরে নগর ভবন প্রাঙ্গণে সকাল সাড়ে ৬টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এছাড়াও দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা দ্বারা সজ্জিত করা হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের স্মরণে ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় প্রার্থনা করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভসমূহ ও নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কদ্বীপসমূহে আলোকসজ্জা করা হয়। তাছাড়াও এমএজি ওসমানী শিশু উদ্যান ও শেখ হাসিনা শিশু পার্ক উন্মুক্ত রেখে শিশু-কিশোর, শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ ও অটিস্টিক শিশুদের বিনা টিকিটে চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করে সিসিক কতৃর্পক্ষ। এর আগে ২৫ মার্চ রাত ১২ টায় নগর ভবনের সামনে গণহত্যার ভয়াবহতার চিত্র প্রচার করা হয়।
এসময় সিসিক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের শেষে পরাধীনতার শিকল ভেঙে আমাদের এই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি তাদের কাছে বাঙালি জাতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে।
নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ একই সুতোয় গাঁথা। মুক্তিযুদ্ধ যারা করেছেন তারাও সেসময়ের তরুণ ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে জীবনের মায়া ত্যাগ করে এবং অনেক মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে দেশের মানুষকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন সে সময়ের তরুণরা। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সব সময় সম্মান দেখানো আমাদের কর্তব্য এবং দায়িত্ব। তাদের কাছ থেকে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জেনে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীসহ কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
+ There are no comments
Add yours