সেনাবাহিনীকে নিয়ে ভয়ঙ্কর গুজবে মেতেছেন শামসুল আলম

1 min read

নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সংসদ নির্বাচন ক্রমেই এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে গুজবকারীদের ষড়যন্ত্র বাড়ছে। সমগ্র বিশ্ব সমর্থন দিচ্ছে এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতিমধ্যে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসে।

এছাড়া বিশ্বের অন্যান্য নামীদামি অর্গানাইজেশনও নির্বাচন পরখ করতে বাংলাদেশে এসেছে। যা দেখে আঁতে ঘা লেগেছে দেশ বিরোধী শক্তিদের। তারা আঁচ করতে পেরেছেন, দেশে জনগণ বিপুল উৎসাহের সঙ্গে ভোটে অংশগ্রহণ করবেন। যার কারণে বাধ্য হয়েই গুজব ছড়াচ্ছেন শামসুল আলম।

যিনি মিথ্যাচার ছড়িয়ে বলছেন, ইলেকশনে সেনাবাহিনী মাঠে নামা নিয়ে জিওসিদের মধ্যে নাকি মতভেদ তৈরি হয়েছে। যা নিতান্তই মিথ্যাচার। শামসুল আলম আরো বলেন, নির্বাচনে মাঠে নামতে গেলে আর্মির ওপরে নাকি স্যাংশন আসবে। আর এরপরে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে ব্যাপক রদবদল হয়। যা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার।

কারণ সেনাবাহিনীতে নিয়মের বাইরে গিয়ে কোনো প্রকারের রদবদল ঘটেনি। একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর নিয়মতান্ত্রিক ভাবে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে পদোন্নতি হয় সঙ্গে অনেকে অবসরে যায়। বিষয়টি নিতান্তই স্বাভাবিক। সেনাবাহিনীও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু স্বাভাবিক এ প্রক্রিয়াকে ষড়যন্ত্রের অংশের মতো বাড়িয়ে বলে মিথ্যাচার ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন এই নারী লোভী গুজবকারী শামসুল।

যিনি একসময় ছিলেন দুর্নীতিগ্রস্ত বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এপিএস। বেগম জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে একবার শামসুল আলম অসুস্থ হয়ে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হয়ে একজন সেবিকাকে হাসপাতালের ভেতরেই অন্তরঙ্গ সম্পর্কে জড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করেন। এ সময় সেই নার্স চিৎকার করে উঠলে পাশের কেবিন ও হাসপাতালে থাকা বিভিন্ন লোকজন দৌড়ে এসে শামসুল আলমকে আপত্তিকর অবস্থায় পান।

অতঃপর উপায় না পেয়ে সেই নার্সকে বিয়ে করেছিলেন বর্তমান দেশবিরোধী গুজবকারী শামসুল আলম। অথচ আজ তিনি দেশ বিরোধী বড় বড় কথা বলছেন, যিনি এক সময় এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে ইজ্জত জলাঞ্জলি দিয়ে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলেন। দেশকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে বিপদে ফেলে দেয়া এই শামসুল আলম এখন হয়েছেন ইনফ্লুয়েন্সার।

প্রসঙ্গত, শামসুল আলম বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি মূলত খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর অর্থ-সম্পত্তি দেখভাল করতেন এবং তার হয়ে বিভিন্ন মহলে প্রভাব খাটিয়ে চাঁদা আদায় করতেন। পরবর্তীতে বিএনপি সরকার ক্ষমতা হারালে শামসুল আলম যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং সেখানে সরকারবিরোধী একটি অনলাইন সেল গড়ে তোলেন। মূলত জাহিদ এফ সরদার সাদী, মনির হায়দার, চ্যানেল ২৪- এর সাবেক সাংবাদিক শাহেদ আলম, নৈতিক স্খলনের দায়ে একুশে টিভি থেকে চাকরীচ্যুত শিবিরপন্থী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন এবং দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত সাবেক বিচারপতি এস কে সিনহাদের সমন্বয়ে এই বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা ও গুজব সেল পরিচালনা করছেন শামসুল আলম। আর এতে অর্থায়ন করছেন তারেক রহমান ও বিএনপির অন্যান্য বিদেশ পলাতক নেতারা। এর অংশ হিসেবে তিনি নিজেও ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে নানা ধরণের সরকারবিরোধী বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করেন, যার কোনো ভিত্তি নেই।

আরও পড়তে পারেন

+ There are no comments

Add yours